ইতালিতে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড

মহামারিতে পরিণত হওয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতালিতে একদিনে মৃতের ও আক্রান্তের সংখ্যা নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। গত একদিনে সেখানে নতুন করে মারা গেছে ৪৭৫ জন। আক্রান্ত হয়েছে চার হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশটির সবচেয়ে উপদ্রুত এলাকা লোমবার্দেতেই এদিন মারা গেছে ৩১৮ জন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে লক ডাউন অবস্থায় রয়েছে পুরো ইতালি

চীনের পর করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশগুলোর একটি ইতালি। গত বছরের শেষ দিকে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে প্রাণ কেড়েছে আট হাজার ৭৫৮ জন মানুষের। এদের বেশিরভাগই চীনের বাসিন্দা। ইতালিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৭১৩ জন। তাদের মধ্যে চার হাজারেরও বেশি মানুষ সফলভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছে। চীনে এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে মোট তিন হাজার ২৩৭ জনের। আর ইতালিতে ইতোমধ্যে মারা গেছে দুই হাজার ৯৭৮ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত দুই লক্ষাধিক মানুসের প্রায় ৮০ শতাংশই ইউরোপ ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বাসিন্দা। এই এলাকার আওতায় পড়েছে এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল।

ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বহু দেশ। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগমের মতো বহু অনুষ্ঠান বাতিল করা। তবে বুধবার ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস গেব্রিয়াসিস বলেছেন, ‘মহামারি ঠেকাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে দেশগুলোকে অবশ্যই বিচ্ছিন্ন, পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং শনাক্ত করা চালিয়ে যেতে হবে’।

ভাইরাসটির মহামারি ঠেকাতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ (লক ডাউন) রয়েছে ইতালি। নাগরিকদের ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হলেও দেশটিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। ইতালি ছাড়াও ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। স্পেনে এই ভাইরাসে মারা গেছে ৫৯৮ জন আর আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৭১৬ জন। মৃতদের মধ্যে মাদ্রিদের একটি নার্সিং হোমের প্রায় ১৭ বাসিন্দাও রয়েছে। সেখানে কিভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে তা তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ শতাংশ বেড়ে মোট সাত হাজার ৭৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে মারা গেছে ১৭৫ জন। এদর মধ্যে সাত শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের নিচে। যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৪ জনে। জার্মানিতে ১২ জনের মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে আট হাজার ১৯৮ জন। বেলজিয়ামে মারা গেছে ১৪ জন আর আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৪৮৬ জন।