রেকর্ড মৃত্যুর পর ইতালিতে আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ

করোনাভাইরাস সংক্রমণে ইতালিতে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুর পর সে দেশে নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করা হয়েছে। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, দেশটির সবচেয়ে আক্রান্ত এলাকা লমবার্দিতে নতুন করে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

noname

২১ ফেব্রুয়ারি ইতালিতে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে গত এক মাসে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৮২৫ জনে দাঁড়িয়েছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। উত্তরাঞ্চলীয় লমবার্দিতেই প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৯৫ জনের।

৮ মার্চ থেকে লমবার্দি লকডাউন অবস্থায় আছে। শনিবার দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণে ৭৯৩ জনের মৃত্যুর পর রাতে ঘোষিত পদক্ষেপে ‘জরুরি’ সরবরাহ ব্যবস্থা ছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল, সড়ক ও রেলপথ বাদে সব ধরনের নির্মাণকাজও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে বসা সাপ্তাহিক মার্কেটগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। লমবার্দি অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট আত্তিলিয়ো ফোনতানা এক বিবৃতিতে নতুন এসব বিধিনিষেধের কথা ঘোষণা করেন।

শনিবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে দেশজুড়ে ‘জরুরি নয়’ এমন সব ধরনের ব্যবসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কোন ধরনের ব্যবসাকে জরুরি বলে বিবেচনা করা হবে তিনি তা পরিষ্কার করেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এছাড়া বাড়ির বাইরে সব ধরনের খেলাধুলা ও ব্যায়াম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভেন্ডিং মেশিনের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।

সুপার মার্কেট, ফার্মেসি, পোস্ট অফিস ও ব্যাংক খোলা থাকবে এবং গণপরিবহনও সচল থাকবে।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বলেছেন, “আমরা দেশের উৎপাদন ইঞ্জিনের গতি ধীর করবো কিন্তু বন্ধ করবো না।” চলমান এ পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতালির জন্য ‘সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।