ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলা

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অন্তত ১৯ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক জোট। সোমবার (৩০ মার্চ) এসব হামলার খবর নিশ্চিত করেছে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি পরিচালিত আল মসিরাহ টেলিভিশন। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। সৌদি আরব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার কথা জানানোর পর ইয়েমেনে এই হামলার ঘটনা ঘটলো। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গত কয়েক মাসের মধ্যে ইয়েমেনের রাজধানীতে এটাই প্রথম বিমান হামলা।সৌদি আরব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দুই দিনের মাথায় সানায় বিমান হামলা চালানো হয়

গত শনিবার (২৮ মার্চ) দুটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহতের কথা জানায় সৌদি আরব। সৌদি রাজধানী রিয়াদ ও ইয়েমেন সীমান্তবর্তী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জিজান লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে হুথি বিদ্রোহীরা। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি আরবের হস্তক্ষেপের পঞ্চম বর্ষপূর্তির দিনে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই হামলার পর সোমবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অন্তত ২৫টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান সেখানে অবস্থানরত আল জাজিরার প্রতিবেদক। তিনি জানান, ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সৌদি বোমাবর্ষণের নিন্দা জানিয়েছে।

এর আগে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে অবিলম্বে ইয়েমেনে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত মার্টিন গ্রিফিথ। দেশজুড়ে  যুদ্ধবিরতি কার্যকরের লক্ষ্যে রবিবার এই আহ্বান জানান তিনি। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা। পালিয়ে রিয়াদে আশ্রয় নেন সৌদি সমর্থনপুষ্ট হাদি। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি’র বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে রিয়াদ। এ অভিযানে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে পুরো ইয়েমেন। ইয়েমেন পরিস্থিতিকে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক মানবিক সংকট আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।