নাগরিকদের চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরও কঠোর করছে স্পেন

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনতে নাগরিকদের চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরও কঠোর করছে স্পেন। বিদ্যমান তিন সপ্তাহের লকডাউনের মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে বাড়তি কঠোরতা দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইউনিভার্সিটি অব কর্ডোভা-র শিক্ষক জোস হার্নান্দেজ আল জাজিরা-কে বলেন, দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ১৪ শতাংশই সংক্রমিত হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে।

কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা সরঞ্জামেরও অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। সোমবার স্প্যানিশ দৈনিক এল পাইস জানিয়েছে, স্পেনের ১৭টি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের আটটিতে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলো (আইসিইউ) রোগীদের ঢেউ যেন উপচে পড়ছে।

৩০ মার্চ সোমবার স্পেনে নতুন করে ছয় হাজার ৪০০ জন আক্রান্ত হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে একদিনে এটাই সর্বনিম্ন আক্রান্তের সংখ্যা। এমন প্রেক্ষাপটে স্প্যানিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঞ্চা গঞ্জালেস বলেছেন, তার দেশে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করেছে।

করোনাভাইরাসের মহামারিতে গত ১৪ মার্চ থেকে দেশটিতে প্রায় পুরো মাত্রায় লকডাউন চলছে। বাসিন্দারা কেবলমাত্র কাজ, অপরিহার্য খাবার ও ওষুধ ক্রয় বা স্বজনদের দেখভালের জন্য বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন।

অপরিহার্য নয় এমন যাবতীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মারিয়া জোসে সিয়েরা বলেছেন, লোকজনের অবাধ চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকে দৈনিক আক্রান্তের প্রবণতা কমতে শুরু করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঞ্চা গঞ্জালেস বিবিসিকে বলেছেন, করোনা মহামারিতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সংকট স্পেনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। মহামারি ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য স্পেনকে দায়ী করা অন্যায় হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রেও অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।

এদিকে করোনার মহামারি মোকাবিলায় স্পেনকে নেতৃত্ব দেওয়া চিকিৎসক ডা. ফার্নান্দো সিমন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মারিয়া জোসে সিয়েরা জানিয়েছেন, মহামারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন ওই চিকিৎসক।