হাফতার বাহিনীর বিমান ভূপাতিতের দাবি লিবীয় সরকারের

বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতার বাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিতের দাবি করেছে লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার জিএনএ। রকেট হামলায় রাজধানীতে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর রবিবার ভূমধ্যসাগরীয় শহর মিসরাতার পূর্বাঞ্চলে এসব বিমান ভূপাতিত করা হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, লিবিয়ায় লড়াইরত দুই পক্ষের নতুন সংঘাতে জিএনএ’র নয় সেনা ও হাফতার বাহিনীর অন্তত ৩০ সেনা নিহত হয়েছে।noname

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত হয়ে আছে লিবিয়া। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে দুটি সরকার। এর মধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। আর দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন অপর সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, সৌদি আরব,ও ফ্রান্স। রাজধানী ত্রিপোলির দখল নিতে ২০১৯ সালৈর এপ্রিল থেকে অভিযান জোরালো করেছে হাফতার বাহিনী।

লিবিয়ায় যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতির দাবিতে গত ফেব্রুয়ারিতে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে তা উপেক্ষা করেই দেশটিতে লড়াই চলছে। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত ও হাজার হাজার মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গত রবিবার সন্ধ্যায় লিবিয়ার জিএনএ সরকারের সেনা মুখপাত্র কর্নেল মুহাম্দ কায়ানুনু বলেন, মিসরাতা শহরের আবু গ্রেইন এলাকায় হাফতার বাহিনীর বিমান প্রতিহত করা হয়। সে সময় চীনের তৈরি দুইটি উইং লং বিমান ও একটি রাশিয়ার তৈরি এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার ভূপাতিত করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

নিজস্ব সূত্রের বরাতে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হাফতার বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে ড্রোন ব্যবহার করে জিএনএ বাহিনী। এই সংঘাতে জিএনএ’র নয় সেনার পাশাপাশি হাফতার বাহিনীর ৩০ সেনা নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে সুদান ও চাদের বেশ কয়েক জন সেনাও রয়েছে।

এর আগে রবিবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির সিদি সেলিম এলাকায় রকেট হামলায় এক নারী নিহত হয়। এছাড়া আইন জারা এলাকায় অপর এক রকেট হামলায় এক শিশু নিহত ও অপর চার ব্যক্তি আহত হয়