যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় ২২ এপ্রিল রবিবার দুপুর পর্যন্ত দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আট লাখ ২৪ হাজার ৪৩৮ জন। এর মধ্যে ৪৫ হাজার ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ৩৮ দিনের ব্যবধানে দেশটিতে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারে পৌঁছায়। তার মাত্র পাঁচদিনের মাথায় প্রাণহানি ২০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজারে উন্নীত হতে সময় লাগে মাত্র চারদিন।

দেশটিতে এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে নিউ ইয়র্কে। সেখানে ইতোমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

লকডাউনের ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ধস নেমেছে অর্থনীতিতে। গত এক মাসে ২ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মার্কিন নাগরিক বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। এদিকে শিগগিরই অর্থনীতি ফের সচল করার পরিকল্পনা নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কায় এতে সম্মত হচ্ছেন না সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নররা।

ম্যারিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে রোজ বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বোস্টন এবং শিকাগোতেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।

হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের কর্মকর্তা ডা. ডেবোরা ব্রিক্স সম্প্রতি আশঙ্কা জানিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এক লাখ মৃত্যু কিছুতেই এড়াতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। আর সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলা না হলে মৃতের সংখ্যা ২২ লাখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

হোয়াইট হাউসের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা করোনা নিয়ে জানুয়ারি মাসেই সতর্কতামূলক চিঠি দিলেও ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি সেটি দেখেননি। তবে করোনাভাইরাস নিয়ে চীনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এ ভাইরাসের বিস্তারের জন্য চীনকে পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। তারা যদি দায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই তাদের পরিণতি ভোগ করা উচিত। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ট্রাম্প বলেন, চীনে এই মহামারি শুরু হওয়ার আগেই তা থেমে যেতে পারতো। কিন্তু সেটা হয়নি। এখন পুরো দুনিয়া ভুগছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, চীন সরকারের স্পর্শকাতর গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। তবে এ সংক্রান্ত প্রকৃত সত্য হয়তো কখনোই জানা যাবে না।