শিশুদের দেহে করোনার বিচিত্র প্রভাব শনাক্ত

প্রথম দিকে করোনায় শিশুদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি কম থাকার কথা বলা হলেও ভাইরাসটি শিশুদের জীবনও কাড়ছে। আনুপাতিক হারে কম হলেও শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন অঙ্গে প্রদাহসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে যা করোনা থেকে সৃষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন-এর এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।   

noname

একটি ভয়াবহ উপসর্গ যাকে করোনার উপসর্গ মনে করা হচ্ছে, তাহলো শিশুদের বিভিন্ন অঙ্গে প্রদাহ। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র বিল দে ব্লাসিও জানিয়েছেন সেখানকার ৫২ জন শিশুর মধ্যে এ ধরনের উপসর্গ পাওয়া গেছে। আর নিউ ইয়র্কের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এ ধরনের লক্ষণ থাকা আরও ১০০ শিশুকে পরীক্ষা চলছে।

বোস্টন শিশু হাসপাতালের মেরি বেথ সন বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে শিশুরা শকে চলে যায়, কারও কারও কাওয়াসাকি রোগের লক্ষন দেখা যায়, আবার কারও কারও সাইটোকাইন স্টর্ম এর লক্ষণ দেখা যায়। কিছু এলাকায় দেখা গেছে শিশুদের মধ্যে কাওয়াসাকি রোগের লক্ষণ দেখা গেছে কিন্তু তারা শকে যায়নি।’ কাওয়াসাকি হলো ধমনীর দেয়ালে প্রদাহজনিত রোগ যা হৃদযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিউ জার্সির চিকিৎসক গ্লেন বুডনিক বলেন, ‘মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের সঙ্গে ওভার রিঅ্যাক্ট করছে। আর এটি প্রদাহজনিত রোগ হওয়ায় এ ধরনের ওভাররিঅ্যাকশন কাওয়াসাকির মতো রোগ তৈরি করতে পারে।’

বোস্টন চিলড্রেনস প্যানেলের চিকিৎসক ও কাওয়াসাকি রোগ বিশেষজ্ঞ জেন নিউবার্গার বলেন, ‘এমনও হতে পারে সার্স কভ-২ এর বিরুদ্ধে শিশুদের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে সেটাই শরীরে ইমিউন রিঅ্যাকশন তৈরি করছে। কেউই এখন তা নিশ্চিত করে বলতে পারবে না।’

চিকিৎসকরা বলছেন, ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসা দিতে হবে বলে মনে করেন তারা। রক্ত পাতলাকারী ওষুধের মাধ্যমে জমাট বাঁধা রক্তকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আর সাইটোকাইন স্টর্মকে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজন হবে ইমিউন ব্লকারের।