X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্পের ব্যয়ের বিল সমর্থনকারী আইনপ্রণেতাদের শাস্তির হুমকি ইলন মাস্কের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১ জুলাই ২০২৫, ১৫:২৫আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৬

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক কর-কাটছাঁট এবং ব্যয় বৃদ্ধির বিলের তীব্র সমালোচনা করেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সোমবার (৩০ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যারা এই বিলকে সমর্থন করেছেন—তাদের আগামী নির্বাচনে হারিয়ে দেওয়া হবে। যদিও তারা আগে সরকারী ব্যয় হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ট্রাম্পের সঙ্গে এ বিষয়ে বিরোধে জড়ানোর পর কয়েক সপ্তাহ চুপ ছিলেন মাস্ক। এরপর সিনেটে বিলটি উত্থাপিত হলে শনিবার পুনরায় আলোচনায় ফিরে আসেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিলটিকে ‘পুরোপুরি উন্মাদ ও ধ্বংসাত্মক’ বলে আখ্যায়িত করেন।

সোমবার তিনি সমালোচনার মাত্রা আরও বাড়ান। তিনি বলেন, যেসব আইনপ্রণেতা ব্যয় কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন কিন্তু এখন এই বিলকে সমর্থন করছেন, তাদের লজ্জায় মাথা হেঁট করে রাখা উচিত!’

তিনি আরও বলেন, তারা আগামী বছর প্রাইমারিতে অবশ্যই পরাজিত হবে—এটাই হবে আমার জীবনের শেষ কাজ।’

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী মাস্ক আবারও একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বান জানান। বলেন, যে বিলটির বিপুল ব্যয় প্রমাণ করে ‘আমরা একদলীয় দেশে বাস করছি—দ্য পার্কি পিগ পার্টি!!’

তিনি লেখেন, এখন সময় হয়েছে এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দলের, যারা সত্যিকার অর্থে জনগণের কথা ভাবে।’

এই বিল নিয়ে মাস্কের সমালোচনা ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরিয়েছে। অথচ এর আগে এই ধনকুবের ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচন প্রচারণায় প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিলেন। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’র নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যা ছিল একটি ফেডারেল ব্যয় হ্রাস প্রকল্প।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্ক দাবি করেছেন, এই নতুন আইন জাতীয় ঋণ ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেবে এবং ওই প্রকল্পের মাধ্যমে যে সাশ্রয় তিনি করেছিলেন, তা মুছে দেবে।

তবে মাস্ক কংগ্রেসে আসলে কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন, কিংবা তার মন্তব্য এই বিল পাসে কতটা প্রভাব ফেলবে—তা এখনও স্পষ্ট নয়। রিপাবলিকানরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের এই অনিয়মিত দ্বন্দ্ব ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী কংগ্রেস নির্বাচনে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রক্ষার সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

এই ফাটলের কারণে টেসলার শেয়ারেও ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কোম্পানিটি বাজারমূল্য থেকে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে তা কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়েছে।

/এস/
সম্পর্কিত
ইউক্রেনের লুহানস্ক শতভাগ মস্কোর নিয়ন্ত্রণে: রুশপন্থি কর্মকর্তা
যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন নেতানিয়াহু, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের তোড়জোড়
তেলেঙ্গানায় ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৩৬
সর্বশেষ খবর
এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে নকল সরবরাহের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা আটক
এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে নকল সরবরাহের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা আটক
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণার আল্টিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চের
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণার আল্টিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চের
জুলাই বিভাজন নয়, ঐক্যের প্রতীক: নুর
জুলাই বিভাজন নয়, ঐক্যের প্রতীক: নুর
জুলাই বিপ্লবের শহীদেরা দেশ ও জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লবের শহীদেরা দেশ ও জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলনঅন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট