অ্যামাজনে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে গুরুতর রোগীদের

ব্রাজিলের অ্যামাজন জঙ্গলে বসবাসরত আদিবাসী মানুষদের মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদেরকে বিমানে করে সরিয়ে নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।।  তাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে মানাউস শহরে আইসিউতে ভর্তি করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতীকী ছবি

ব্রাজিল সরকারের আদিবাসী স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা সেসাই সোমবার (১৮ মে) জানায়, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে অন্তত ২৩ জন আদিবাসী মারা গেছেন।  তবে অ্যামাজন থেকে শহরে চলে যাওয়া আদিবাসীদেরকে নিজেদের পরিসংখ্যানের আওতায় রাখে না সেসাই। এসব মানুষদের মধ্য থেকেও আক্রান্তের সংখ্যা হিসাব করে থাকে আদিবাসী সংগঠন এপিআইবি। তাদের হিসাব অনুযায়ী, সোমবার  (১৮ মে) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৩ এপ্রিল এ সংখ্যা ১৮ ছিল।

অ্যামাজন অঞ্চলে চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত বিমানে কর্মরত আছেন শিশু বিশেষজ্ঞ এডসন সান্তোস রড্রিগুয়েস। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। নদীর ওপর দিয়ে আমরা আরও বেশি সংখ্যক বিমান উড়িয়ে নিচ্ছি। তাদের জীবন বাঁচানোর এটাই শেষ সুযোগ। কখনও কখনও আমরা সেখানে সময়মতো পৌঁছাতে পারি না। দুর্গম ওই এলাকায় বাতি না থাকায় আমরা রাতে অবতরণ করতে পারি না।’

অ্যামাজন অঞ্চলের রাজধানী শহর মানাউস। সেখানেও আইসিইউ-এর শয্যার সংখ্যা ফুরিয়ে আসছে। মৃত রোগীদের সৎকারেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক কবরে অনেকজনকে সমাহিত করতে বাধ্য হতে হচ্ছে।

চিকিৎসক ড্যানিয়েল সিকুয়েইরা ছোটবেলায় অ্যামাজনের একটি আদিবাসী গ্রামে ছিলেন। ওই অঞ্চলের প্রচলিত ভাষা তার আয়ত্ত্বে আছে। তিনি মনে করেন গুরুতর রোগীর ভাষা বোঝা খুব জরুরি। সিকুয়েইরা আরও বলেন, ‘মহামারি শহরে শুরু হলেও দুর্গম অঞ্চলে এটি পরিস্থিতি খারাপ করে তুলছে। শহরগুলোকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। ভাইরাস যেন আদিবাসী গ্রামে না পৌঁছাতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। আর তা নাহলে আরও অনেক মানুষ মারা যাবে।’