মডার্নার তৈরি টিকায় আশার আলো দেখছেন গবেষকরা

যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক কোম্পানি মডার্নার তৈরি করোনা টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানব শরীরে  প্রয়োগ করে সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, আট স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এ টিকা প্রয়োগের ফল ইতিবাচক হয়েছে। পরবর্তী পরীক্ষাগুলোও সফল হলে আগামী জানুয়ারি নাগাদ এ টিকা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে আশা করছে মডার্না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতীকী ছবি

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের অনুমোদিত কোনও টিকা আবিষ্কার হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান টিকা আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় এ ধরনের ৭৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে আরএনএ টিকা নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো প্রথম কোম্পানি। এ টিকা ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি। মানুষের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জাগিয়ে দিয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি করাই এর লক্ষ্য। এই টিকা তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে মর্ডানা।

মডার্নার টিকাটি পরীক্ষামূলকভাবে গত মার্চে মানুষের শরীরে প্রথম প্রবেশ করানো হয়। প্রথম পর্যায়ের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শরীরে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে মডার্না জানিয়েছে, প্রাথমিক ফল ইতিবাচক।

যে আট স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং সেগুলো ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তা ভাইরাসের বংশবিস্তার ঠৈকিয়ে দিতে সক্ষম। ওই আটজনের প্রত্যেকের শরীরেই করোনাভাইরাসের ‘নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি’ এমন মাত্রায় তৈরি হয়েছে, যা এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির সমান বা তার চেয়ে বেশি। নিউট্রালাইজিং অ্যান্ডিবডিগুলো ভাইরাসকে ঠেকিয়ে দেয়, তার মানবদেহে আক্রমণের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।