উহানে ৯ দিনে ৬৫ লক্ষাধিক মানুষের করোনা পরীক্ষা

চীনের উহান শহরে গত ৯ দিনে ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন।

nonameপ্রতিবেদনে বলা হয়, দুনিয়াজুড়ে দ্বিতীয় ধাপে করোনা প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কার প্রেক্ষিতে এর উৎসস্থলে ব্যাপকভিত্তিক এ পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিং।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, গত ১৫ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত উহানে ৯০ লাখেরও বেশি মানুষের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে।

শহরটির মোট জনসংখ্যা ১১ কোটি আট লাখ। অর্থাৎ, মোট জনসংখ্যার ৮০ ভাগেরই করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সোমবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-র হেলথ ইমার্জেন্সিজ প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ডা. মাইকেল রায়ান।

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা বিশ্বজুড়ে প্রথম পর্যায়ের প্রাদুর্ভাবের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছি। আমরা এমন পর্যায়ে রয়েছি যেখান থেকে রোগটি আরও বাড়তে পারে। আমাদের এই সত্যও স্বীকার করতে হবে, যে কোনও মুহূর্তে সংক্রমণ বিস্তৃত হতে পারে। প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমতে শুরু করেছে ঠিকই, তবে সেখান থেকে আমরা এখনই কোনও অনুমান দাঁড় করাতে পারি না। আর যেভাবে এটি কমছে তাতে কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রাদুর্ভাবের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

ড. রায়ান সতর্ক করেছেন, দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাব বা এর চূড়ান্ত পর্যায় স্বাভাবিক ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুমের মধ্যে আসতে পারে। আর তা হলে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

ডব্লিউএইচও-র সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভান কেরখোভ বলেন, সব দেশেরই এই মুহূর্তে অতিমাত্রায় সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সবারই দ্রুত আক্রান্ত শনাক্ত করার প্রস্তুতি থাকার দরকার। এমনকি যেসব দেশ রোগটি নিয়ন্ত্রণে সফলতা দেখিয়েছে তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, সুযোগ পেলেই ভাইরাসটি আবারও প্রাদুর্ভাব বাড়াতে শুরু করবে।