ট্রাম্পের সঙ্গে কী কথা হয়েছে খুন হওয়া কৃষ্ণাঙ্গের পরিবারের?

শুক্রবার (২৯ মে) ট্রাম্প জানান, তিনি ফ্লয়েডের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তাদের মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছে তা জানাননি তিনি। রবিবার সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন-এর অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা হয়েছে ফ্লয়েডের পরিবারের সদস্যদের।

noname

ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তার ভাই ফিলোনিসে সিএনএনকে বলেন,  “তিনি আমাকে কথা বলারও সুযোগ দেননি। তার সঙ্গে কথা বলাটাই যেন কঠিন ছিল। আমি তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। আর তিনি বার বার আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। তার মুখভঙ্গি এমন ছিল যে, ‘আমি তোমার কথা শুনতে চাচ্ছি না’। তাকে শুধু বলেছি, আমি ন্যায়বিচার চাই। আধুনিক যুগে দিনে দুপুরে এমন একটা একটা নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে তা আমি মেনে নিতে পারছি না।”

ফিলোনিসে আরও বলেন, ‘আমি সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বলেছি -এর আগে কখনও আমি কোনও মানুষের কাছে হাত পাতিনি। তবে তাকে আমি বলেছি, দয়া করে আমার ভাইয়ের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করুন।’

ফিলোনিসে চান না, কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রবহমান সংস্কৃতি তার ভাইয়ের ক্ষেত্রেও বাস্তব হোক।  তিনি বলেন, ‘কেউ্ই সেটা চায় না। কৃষ্ণাঙ্গরা এমনটা মেনে নিতে পারে না। আমরা সবাই মরে যাচ্ছি। কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনেরও মূল্য আছে।’

এর আগে হোয়াইট হাউসে এক গোল টেবিল বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি জাতির পক্ষ থেকে জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও হৃদয়জাত সহানুভূতি প্রকাশ করতে চাই।’ পরে তিনি বলেন, ‘আমি পরিবারটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভয়ঙ্কর মানুষ তারা।’

২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে হত্যার শিকার হন ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। ফ্লয়েডের গাড়িতে জাল নোট থাকার খবর পেয়ে তাকে আটক করতে গিয়েছিল পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। নিহত ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন।  নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন ফ্লয়েড। হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগ তাদের চার কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করে। এদের মধ্যে ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু তুলে দেয়া ৪৪ বছর বয়সী ডেরেকও আছেন। গ্রেফতারের পর ডেরিকের বিরুদ্ধে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা।