প্লে স্টোর থেকে চীনবিদ্বেষী সেই ভারতীয় অ্যাপ সরিয়ে নিলো গুগল

বিদ্যমান চীন-ভারত উত্তেজনায় ভারতজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘বয়কট চায়না’ ক্যাম্পেইন। এই প্রচারণা আরও জোরালো করে তুলেছে ‘রিমুভ চায়না অ্যাপস' নামের চীনবিদ্বেষী একটি নতুন অ্যাপ। এর কাজ হলো ফোন থেকে চীনা অ্যাপগুলো শনাক্ত করে সেগুলো আনইনস্টল করতে সাহায্য করা। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ ডাউনলোড হওয়া অ্যাপটি ইতোমধ্যেই প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে নিয়েছে গুগল। এর আগে টিকটকের বিকল্প হিসেবে দাঁড় করানো মিটরন নামের আরেকটি ভারতীয় অ্যাপও সরিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ৩ জুন বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।noname

রিমুভ চায়না অ্যাপস নামের অ্যাপটি ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে ইনস্টল করা চীনা অ্যাপগুলো শনাক্ত করে সেগুলো আনইনস্টল করে দিতো। গুগলের পক্ষ থেকে অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপটি সরিয়ে ফেলার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। ফের এগুলো আর প্লে স্টোরে ঠাঁই পাবে কিনা সেটিও এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ইতোমধ্যেই যারা অ্যাপটি ইনস্টল করেছে তাদের স্মার্টফোনে এটি কাজ করবে।

সাধারণত প্লে স্টোরের নীতিমালা লঙ্ঘন করলে ওই অ্যাপ সরিয়ে নেয় গুগল। টিকটকের ভারতীয় বিকল্প মিটরনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল।

প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়ার আগে রিমুভ চায়না অ্যাপটি ভারতে প্লে স্টোরে শীর্ষস্থানীয় র‍্যাংকিংয়ে ছিল। ৪.৮ রেটিং নিয়ে এটি প্লে স্টোরে টপে ছিল।

ভারতে চীন বয়কটের এই আন্দোলনের ডাকটা প্রথম দিয়েছিলেন সোনাম ওয়াংচুক। তিনি লাদাখের সেই বিখ্যাত প্রকৌশলী ও শিক্ষা সংস্কারক, যাকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল বলিউডের বিখ্যাত 'থ্রি ইডিয়টস' ছবিতে আমির খানের রাঞ্চো চরিত্র। সোনাম ওয়াংচুক-এর সেই ডাক যেন ভারতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। শাওমি, অপ্পো, ভিভো-র মতো অজস্র চীনা কোম্পানির মোবাইল ফোন ভারতে অসম্ভব জনপ্রিয়। কিন্তু রাতারাতি সেইসব ফোন বর্জনের অঙ্গীকার করতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটিদের অনেকেই। এর মধ্যেই ভারতজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় রিমুভ চায়না নামের ওই অ্যাপটি। জয়পুরের স্টার্ট-আপ কোম্পানি 'ওয়ানটাচঅ্যাপল্যাবস' গত ১৭ মে এই রিমুভ চায়না অ্যাপটি লঞ্চ করেছিল। যাত্রা শুরুর পরই অপ্রত্যাশিত রকমের সাফল্যের মুখ দেখে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও শেষ পর্যন্ত চীনা অ্যাপ সরাতে গিয়ে নিজেকেই অস্তিত্ব সংকটে পড়তে হলো তাদের।