হাফতার বাহিনীর শেষ শক্ত অবস্থানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে লিবীয় বাহিনী

লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের অনুগত বাহিনী শুক্রবার তারহুনা শহরে প্রবেশের কথা জানিয়েছে। এই শহরটিকে বিদ্রোহী সেনা কমান্ডার খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনীর সর্বশেষ শক্ত অবস্থান বলে বিবেচনা করা হতো। এর মধ্য দিয়ে রাজধানী ত্রিপোলি দখলে হাফতার বাহিনীর ১৪ মাসের অভিযানের পরাজয় ঘটলো বলে মনে করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

প্রায় পাঁচ বছর ধরে লিবিয়ায় দুটি সরকার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে একটি সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশ। আরেকটি ফিল্ড মার্শাল হাফতারের নেতৃত্বাধীন। ত্রিপোলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘ। তুরস্ক, ইতালি ও যুক্তরাজ্য এ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। আর হাফতার বাহিনীর সমর্থনে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, রাশিয়া, ফ্রান্স, মিসর ও সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে (জিএনএ) সমর্থন করে এবং শান্তি আলোচনার আহ্বান জানায়। কিন্তু ২০১৯ সালের এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খলিফা হাফতারকে ফোন দিয়ে লিবিয়ার ব্যাপারে ‘যৌথ স্বপ্নের’ কথা বলেন।
গত বছর ত্রিপোলি দখলে নতুন করে অভিযান শুরু করে খলিফা হাফতারের বাহিনী। তবে মাত্র একদিন আগেই ত্রিপোলিতে তাদের সর্বশেষ অবস্থান থেকে বিতাড়িত করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বাহিনী। আর এবারে ত্রিপোলি থেকে ৭৫ কিলোমিটার তারহুনা শহরেরও নিয়ন্ত্রণ হারালো হাফতার বাহিনী। এরপর সরকারি বাহিনী হাফতার নিয়ন্ত্রিত বানি ওয়ালিদ শহরে অভিযান চালাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।