সৌদি আরবের এবারের ‘টার্গেট’ খাশোগির ঘনিষ্ঠ বন্ধু?

 

কানাডায় নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী ওমর আব্দুল আজিজ। হত্যাকাণ্ডের শিকার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগির এই ঘনিষ্ঠ বন্ধু দাবি করেছেন, সৌদি আরব এবার তাকে ‘সম্ভাব্য টার্গেট’-এ পরিণত করতে চাইছে। এ ব্যাপারে কানাডা পুলিশ তাকে সতর্ক করেছে।
 
ওমর আব্দুল আজিজ
 
খাশোগির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল ২৯ বছর বয়সী ভিডিও ব্লগার ও অ্যাকটিভিস্ট ওমর আব্দুল আজিজের। ২০১৮ সালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটিজেন ল্যাবের গবেষকরা আব্দুল আজিজকে সতর্ক করে বলেছিলেন, সৌদি আরবের একটি নেটওয়ার্ক তার ফোন হ্যাক করেছে। হ্যাকিংয়ের ওই সময়ে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগির সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো।
 
পরে ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যার শিকার হন খাশোগি। সম্ভাব্য ওই হ্যাকিংয়ের পর আব্দুল আজিজের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য ও বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
 
আব্দুল আজিজ গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘কানাডারহাতে এমন কিছু তথ্য আছে যার ভিত্তিতে তারা বলছে আমাকে হত্যা করা হতে পারে। এমবিএস (যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান) ও তার দল-আমি জানি না তার দলে কে কে আছে, তবে আমার ক্ষতি করতে চায়। তারা কিছু একটা ক্ষতি করতে চায়। তবে আমি জানি না এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অপহরণ। তবে এটা নিশ্চিত যে কোনও একটা ঝামেলা আছে।’
 

২০১৮ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছিলেন খাশোগি। তিনি সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত এই সাংবাদিক সৌদি আরবে ফেরার বিষয়ে রিয়াদের চাপ অগ্রাহ্য করে আসছিলেন। প্রথমে রিয়াদের পক্ষ থেকে খাশোগিকে হত্যার কথা অস্বীকার করা হলেও তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলো সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রমাণ হাজির করতে থাকে। এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও ওঠে। এক পর্যায়ে খাশোগি কনস্যুলেট ভবনে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে এ হত্যার সঙ্গে যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।