মুসলিম নিপীড়নকারী চীনা কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞায় নারাজ ট্রাম্প





মার্কিন কংগ্রেসে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নে দায়ী চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত হলেও এই মুহূর্তে তা কার্যকর করতে নারাজ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য আলোচনা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। রবিবার (২১ জুন) সেই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে এক্সিওস।

ট্রাম্প

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠন এরইমধ্যে আলামত হাজির করতে সমর্থ হয়েছে যে চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর, তার্কিকসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু মুসলমানদের ক্যাম্পে আটক রেখে নির্যাতন করা হয়। জাতিসংঘের আশঙ্কা, সেখানে ১০ লাখেরও বেশি মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। তবে চীনের দাবি এসব ক্যাম্পে ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উইঘুর নির্যাতনে দায়ী চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত মাসে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস হয়। এতে দমন অভিযানে দায়ী চীনা কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং দেশটিতে থাকা সম্পদ জব্দের কথা বলা হয়েছে।
এক্সিওসের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি উইঘুর নির্যাতনে জড়িত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করছেন না কেন। জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কথা হলো আমরা বড় ধরনের এক বাণিজ্য চুক্তির মধ্যে আছি। ২৫০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পণ্য ক্রয়ের মতো বড় চুক্তি করেছি আমি। আর কেউ যখন আলোচনার মাঝ পর্যায়ে থাকে, আচমকাই সে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।’
চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে বেইজিংয়ের রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেইজিংও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে। এই বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে এ বছরের শুরুর দিকে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। একে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তি। চুক্তির আওতায় মার্কিন পণ্যসামগ্রী আমদানির পরিমাণ বাড়াবে চীন। ইতোমধ্যে আগামী দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাড়তি ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং। এর বিপরীতে চীনের ওপর আরোপিত কিছু শুল্ক স্থগিত রাখবে ওয়াশিংটন।