ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মানতে নারাজ ভারতীয় পার্লামেন্ট সদস্য এবং সাবেক কূটনীতিবিদ শশী থারুর। রবিবার (১১ মে) এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসন একরকম গঠনমূলক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
তিনি বলেছেন, আমি সোজাসাপটা একটা কথা বলি। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর আলাপ হয়েছে। তিনি আবার পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। সংঘাতের তিন চার দিন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গেই সবার আলাপ হয়েছে। তার মানে তো এই নয়, যেচে গিয়ে ভারত কারও মধ্যস্থতা চেয়েছে।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ৮মে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। দু-দিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তার এই দাবির প্রেক্ষাপটেই মন্তব্য করেন শশী থারুর।
সাবেক কূটনীতিবিদ বলেছেন, এটাকে মধ্যস্থতা বলে না। যুক্তরাষ্ট্র এখানে গঠনমূলক একটা ভূমিকা নিতে চাচ্ছিল। তারা বা অন্য কোনও দেশ এই ভূমিকা পালন করলেও সমস্যা ছিল না। যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত এমনকি ফ্রান্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সবার আগে জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতভর আলোচনা শেষে ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বোধ ও চমৎকার বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের জন্য দুই দেশকে অভিনন্দন।
পরদিন তিনি আবার বলেন, এত দ্রুত হামলা বন্ধে সম্মত হওয়ার জন্য দুই দেশের শক্তিশালী নেতৃত্বকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে সহায়তা করতে পারায় যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত।
ট্রাম্প এরপর কাশ্মীর সংকট সমাধানে পাশে থাকার প্রস্তাবও দেন। যদিও এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে দিল্লি বারবার বলে এসেছে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা এখানে গ্রহণযোগ্য নয়।