চুক্তি না হলেও নীল নদের জলাধার ভর্তি শুরু হবে: ইথিওপিয়া

নীল নদে বাঁধের জন্য তৈরি একটা জলাধার ভর্তির কাজ শুরু করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইথিওপিয়া। বাঁধটির ৭০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে ভাটি অঞ্চলের দুই দেশ সুদান ও মিসরের সঙ্গে চুক্তি না হলে আগামী মাসেই বাঁধের বাকি কাজ শুরু হবে বলে শুক্রবার দেশটির বার্তা সংস্থা ডিপিএ’কে জানিয়েছেন ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেদু আনদারগাচু।noname

২০১১ সালে নীল নদের ওপর গ্রান্ড ইথিওপিয়া রেঁনেসা (জিইআরডি) বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা দেয় ইথিওপিয়া। ছয় হাজারের বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয় এই বাঁধের মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ রফতানিকারক দেশ হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। অপরদিকে মিসরের বিশুদ্ধ পানির ৯০ শতাংশের জোগান আসে নীল নদ থেকে। বাঁধ নির্মাণের পর মিসরের জন্য কতটুকু পানি নিশ্চিত করা হবে আর খরার সময়ে পানি ব্যবস্থাপনা কী হবে তা নিয়ে দুই দেশের মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধ রয়েছে ভাটি অঞ্চলের আরেক দেশ সুদানের সঙ্গেও। বিরোধ নিরসনে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হয়েছে মিসর।

তবে আগামী ১ জুলাই থেকে বাঁধের জন্য নির্মিত সাত হাজার ৪০০ কোটি কিউবিক মিটারের জলাধার ভর্তির বিষয়ে অনড় রয়েছে ইথিওপিয়া। চুক্তি না হলেও বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই জলাধারটি পূর্ণ করা শুরু হবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

ইথিওপিয়া বলছে, তাদের উন্নয়নের জন্য এই বাঁধটি খুবই গুরত্বপূর্ণ। বাঁধের কারণে ভাটি অঞ্চলের দেশগুলোর পানি সরবরাহে কোনও সমস্যা হবে না বলেও দাবি করছে তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেদু আনদারগাচু বলেন, ‘মিসরীয়রা আমাদের অনেক কিছু দেওয়ার প্রস্তাব দেয়, তবে কোনও কিছু দিতে তৈরি না। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আমরা পানি ভাগাভাগির চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছি না।’