১৪ দেশের নাগরিকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বিদেশি নাগরিকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া সীমান্ত আগামী ১ জুলাই থেকে আবারও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আপাতত নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত ১৪টি দেশের নাগরিকেরা ইইউ দেশগুলোতে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। তবে এই তালিকায় নেই যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও চীন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

ইইউ ও শেনজেনভুক্ত দেশগুলো গত ১৫ জুন থেকে ইইউ নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়। ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্রমণের বিষয়টি আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিট ট্রানজিশন পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্রিটিশ নাগরিকদের ইইউ নাগরিক হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ইইউ দেশগুলোতে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন না ব্রিটিশ নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।

আগামী ১ জুলাই থেকে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য নিজেদের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইইউ। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়া খসড়া তালিকায় বলা হয় অন্তত ৫৪টি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণের অনুমতি দিতে পারে ইইউ। তবে সোমবার (২৯ জুন) প্রকাশ করা চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হয়েছে ১৪টি দেশের নাগরিকদের।

ইইউ’র ঘোষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে নিরাপদ বলে বিবেচিত হওয়া ১৪টি দেশের নাগরিকেরা ১ জুলাই থেকে ইইউ দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবে। এগুলো হলো আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মন্টিনিগ্রো, মরক্কো, নিউ জিল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া এবং উরুগুয়ে। তবে এই তালিকায় সংশোধনী আসতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

ওই ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই তালিকায় চীনকে যুক্ত করতে প্রস্তুত রয়েছে ইইউ। চীন সরকার যদি ইইউ নাগরিকদের জন্য পারস্পারিক ভ্রমণ চুক্তিতে রাজি হয় তাহলেই কেবল ওই তালিকায় তাদের যুক্ত করা হবে।