রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে নিহত ১ হাজার ২১২ ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে এনেছে কিয়েভ। বুধবার (১০ জুন) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দি বিনিময় সমন্বয় কমিটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাগেছে, অজ্ঞাত স্থানে রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির (আইসিআরসি) সদস্যরা বেশ কয়েকটি হিমায়িত ট্রাকের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। ট্রাকগুলোর কিছুতে ইউক্রেনের সামরিক মরদেহ শনাক্ত ও ফেরত আনার সংগঠন অন দ্য শিল্ড-এর চিহ্ন ছিল।
গত সপ্তাহে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে মৃতদেহ বিনিময় নিয়ে সর্বশেষ যে আলোচনা হয়েছিল সেখানেই এই বড় পরিসরের সমঝোতায় পৌঁছায় উভয় পক্ষ। যদিও বাস্তবায়ন নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এর আগে ২ জুন এক ব্রিফিংয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, রাশিয়া প্রায় ৬ হাজার মরদেহ ফেরত দিতে চাইলেও মাত্র ১৫ শতাংশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, আমরা এমন একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম, যেখানে রাশিয়া আমাদের সেনাদের মরদেহ ফেরত দিচ্ছিলো, সঙ্গে তাদের নিজস্ব সেনাদের মরদেহও দিচ্ছিল।
ফেরত আনা মরদেহগুলো এখন ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা সংস্থা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারা দ্রুত শনাক্তকরণের কাজ করবেন বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার ইউক্রেন ও রাশিয়া ২৫ বছরের নিচে বয়সী বন্দিদের বিনিময় করে, যা ছিল যুদ্ধ শুরু পরবর্তী প্রথম পর্যায়ের বৃহৎ বন্দি বিনিময়ের অংশ।
তবে যুদ্ধের ময়দানে উত্তেজনা এখনও অব্যাহত। সোমবার রাশিয়া দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের পূর্ব-মধ্যাঞ্চলীয় দনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের আরও কিছু এলাকা দখলে নিয়েছে। অন্যদিকে কিয়েভ বলেছে, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুদ্ধের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে।