ডা. ফারজানাকে নিয়ে গর্বিত চিকিৎসক স্বামী

যুক্তরাজ্যের বর্ষসেরা চিকিৎসকদের একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফারজানা হুসেইন সেখানকার স্বাস্থ্য বিভাগের (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস-এনএইচএস) উদ্যোগে টানানো বিলবোর্ডে স্থান করে নেওয়ায় গর্বিত তার পরিবার। শনিবার (৪ জুলাই) বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডা. ফারজানার স্বামী এ কথা জানিয়েছেন।  

স্বামী ডা. শাফি আহমেদের সঙ্গে ডা. ফারজানা

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ১৮ বছর ধরে পূর্ব লন্ডনে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত আছেন ডা. ফারজানা। তার বাবা ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) থেকে সেখানে পাড়ি জমান। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামনের কাতারে থেকে কাজ করেছেন তিনি। গত কয়েক মাস ধরে অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পাশাপাশি ফারজানা টিকা দেওয়ার ক্লিনিকগুলোতে ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন।

রবিবার এনএইসএস’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নিজেদের ১২ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে বিলবোর্ড বানিয়েছে ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগ। কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ সেখানে অন্যদের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছেন ফারজানা।

কন্যা ও পুত্রের সঙ্গে ডা. শাফি ও ডা. ফারজানা

ফারজানার স্বামী শাফি আহমেদও যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী একজন চিকিৎসক। কমিউনিটির অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তি ও প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম মিম্বর আলীর ছেলে শাফি বিশ্বের অন্যতম একজন ভার্চুয়াল সার্জন এবং ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। ফারজানা-শাফি দম্পতির এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ডা. শাফি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ফারজানার এই অর্জনে আমরা গর্বিত। তার এই সাফল্যে যুক্তরাজ্যের বাঙালি কমিউনিটি আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি যুক্তরাজ্য। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৪১২ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ হাজার ২৮৩ জনের।