বাংলাদেশিসহ ১৮০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর জন্য দুয়ার খুললো ইতালি

ভূমধ্যসাগর থেকে ১৮০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধারের পর আটকে থাকা চ্যারিটি জাহাজকে অবশেষে তীরে ভেড়ার অনুমতি দিয়েছে ইতালি। লিবিয়া থেকে সাগরপথে ইতালিগামী ওই অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন। সোমবার (৬ জুলাই) তাদেরকে সিসিলিতে একটি সরকারি জাহাজে স্থানান্তর করে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখার কথা রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যামীরা

সম্প্রতি লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ইতালি প্রবেশের সময় ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হয় ওই ১৮০ অভিবাসনপ্রত্যাশী। মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংগঠন এসওএস মেডিটারেনি পরিচালিত দ্য ওশেন ভাইকিং জাহাজ তাদের ২৫-৩০ জুন চারটি গ্রুপে উদ্ধার করে। তবে জাহাজটিকে তীরে ভেড়ানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভাসমান ছিল জাহাজটি। শুক্রবার (৩ জুলাই) মানবিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ওশেন ভাইকিং। অভিবাসনপ্রত্যাশী ও জাহাজের নাবিকদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়। শেষ পর্যন্ত এ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশের অনুমতি দিলো ইতালি।

এরইমধ্যে ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। সোমবার (৬ জুলাই) এর রিপোর্ট পাওয়ার কথা।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরিত্রিয়া ও নাইজেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন। তাদের একজন ২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি রবিউল বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা অনেক খুশি। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে এসেছি আমরা। লিবিয়া ছিল জাহান্নামের মতো। এখন অন্তত শেষ দেখে নিতে পারবো আমরা। পরিবারের লোকজনকে বলতে চাই, আমি এখনও বেঁচে আছি।’  

উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ২৫ জন অপ্রাপ্তবয়স্কও আছে। তাদের কোনও প্রাপ্তবয়স্ক সঙ্গী ছিল না। এছাড়া জাহাজটি থেকে উদ্ধার হওয়া দুই নারীর মধ্যে একজন গর্ভবতী।