মাটির নিচে মিসাইল শহর নির্মাণ করেছে ইরান?

ইরান বলছে, ইতোমধ্যে তারা একাধিক ভূগর্ভস্থ মিসাইল শহর তৈরি করে ফেলেছে। তেহরানের দাবি, ক্ষেপণাস্ত্রসমৃদ্ধ এই শহর পারস্য ও ওমান উপসাগরের তীর থেকে আরও খানিকটা গভীরে বিস্তৃত। এই শহরগুলোতে একাধিক বাঙ্কার ও ভাসমান প্ল্যাটফর্মও রয়েছে বলে দাবি তাদের।

noname


ইসরায়েলের হারেৎস পত্রিকা জানিয়েছে, তেহরানভিত্তিক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন সুবহে সাদিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিসাইল শহর নির্মাণের দাবি করেছেন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল অ্যাডমিরাল আলী রেজা তানসিরি। সাক্ষাৎকারটি গত রবিবার প্রকাশিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে তানসিরি হুঁশিয়ার করেছেন, এই শহরগুলো ইরানের শত্রুদের জন্য দুঃস্বপ্নের কারণ হবে।
‘আইআরজিসি এখন এই দুই উপসাগরের সবখানে রয়েছে। ইরানের নৌবাহিনীর ২৩ হাজার সদস্য ও ৪২৮টি জাহাজ এখানকার সব জায়গায় গভীরভাবে নজরদারি করছে’, বলেন তানসিরি।
ইরানের নৌবাহিনী প্রধান হুমকি দিয়েছেন, ‘খুব শিগগির এই মিসাইল শহরে এমন অনেক ক্ষেপণাস্ত্র যোগ হবে, যা শত্রুপক্ষেরও ধারণার বাইরে। এগুলো অত্যন্ত আধুনিক ও শত্রুপক্ষের অনেক গভীরে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।’
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এ পর্যন্ত একাধিক ভূগর্ভস্থ মিসাইল ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছে ইরান। এগুলো খুবই গোপনীয় জায়গায় অবস্থিত। অত্যন্ত সুরক্ষিত একাধিক কারখানায় এসব মিসাইল ও যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করছে দেশটি।