চীনে প্লেগের ঝুঁকি তীব্র নয়: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

চীনে বিউবনিক প্লেগের প্রাদুর্ভাব ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করা গেছে আর এটি তীব্র ঝুঁকির্পূ বলে বিবেচিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা। মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস জানান, চীনের প্রাদুর্ভাব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে আর এতে সহায়তা করছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

গত রবিবার চীনের অবস্থিত মঙ্গোলিয়ার বায়ান্নুর শহরের এক বাসিন্দার শরীরে বিউবনিক প্লেগ শনাক্ত হয়।  এরপরই শহরজুড়ে জারি করা হয়ে ৩ মাত্রার প্লেগ প্রতিরোধ সতর্কতা। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি থাকবে। রোগটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। 

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, ‘আমরা চীনে আক্রান্তের সংখ্যা পর্যালোচনা করছি। এটা ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। বিউবনিক প্লেগ আমাদের মধ্যে ছিল, সব সময়ই আমাদের সঙ্গে ছিল, কয়েক শতাব্দী ধরে এটা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা এটিকে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করছি না।’

চতুর্দশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বে বিউবনিক প্লেগের মহামারি দেখা দিয়েছিল। এ মহামারির নাম দেওয়া হয়েছিল ব্ল্যাক ডেথ। এটি প্রাণ কেড়েছিল অসংখ্য মানুষের। শুধু ইউরোপেই ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। চীনে প্লেগ বিরল এবং চিকিৎসাযোগ্য হলেও ২০১৪ সাল থেকে এই রোগে দেশটিতে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার বিউবনিক প্লেগ রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায় চীন। ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘প্লেগ বিরল, সাধারণত বিশ্ব জুড়ে নির্দিষ্ট কিছু ভূতাত্ত্বিক জায়গায় এটা দেখতে পাওয়া যায় সেসব এলাকায় এটি স্থানীয় প্রাদুর্ভাব হিসেবেই থাকে।’ গত দশ বছর ধরেই চীনে বিচ্ছিন্নভাবে প্লেগ আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে সংস্থাটি বলছে, ‘বিউবনিক প্লেগ সবচেয়ে সাধারণ ধরণ আর এটা আক্রান্ত প্রাণীর কামড় বা তার সংস্পর্শে আসার মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। এটি সহজে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায় না।’