টিকা না আসলে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত: এমআইটি-র সমীক্ষা

করোনাভাইরাসের কার্যকর কোনও টিকা বা ওষুধ না বেরুলে এ ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়বে ভারত। এমনটাই উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর গবেষকদের এক সমীক্ষায়। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

এমআইটি-এর সমীক্ষার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, কমার সম্ভাবনা তো নেই-ই বরং এভাবে চলতে থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে দিনে ২ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এমআইটি-র হাজঘির রাহমানন্দ, টিওয়াই লিম ও জন স্টেরমান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে দিনে ৯৫ হাজার ৪০০টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটবে। এরপর সবচেয়ে বেশি হবে দৈনিক দক্ষিণ আফ্রিকা (২০,৬০০) ও ইরানে (১৭,০০০)।

সমীক্ষা বলছে, সারা বিশ্বে ৮৪টি দেশে করোনা আক্রান্ত হবেন ২৪ কোটি ৯০ লাখ মানুষ। মারা যাবেন সাড়ে ১৭ লাখ মানুষ।

গবেষকরা বলছেন, টেস্টিংয়ের চেয়েও কতটা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায় তার ওপরই আক্রান্তের সংখ্যা নির্ভর করবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

এসইআইআর মডেল ব্যবহার করে এই সংখ্যাটি উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে তিনটি ফ্যাক্টর ধরা হয়েছে। এগুলো হল বর্তমান টেস্টিং রেট ও রেসপন্স, যদি প্রতিদিন ০.১ শতাংশ করে টেস্টিং বাড়ে, তৃতীয়ত টেস্টিং যদি একই থাকে ও কন্টাক্ট রেট আট ধরা হয়। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত মানুষের কাছ থেকে আটজন আক্রান্ত হতে পারে। ৮৪টি দেশের তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত ও মৃত্যু, উভয় সংখ্যাই অনেক কম রিপোর্ট হচ্ছে। একইসঙ্গে তারা বলেছেন হার্ড ইমিউনিটি অর্থাৎ মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি হতে এখনও দেরি আছে। তবে এই রিসার্চে যে সংখ্যা বলা হয়েছে, সেটা বিভিন্ন ফ্যাক্টরের জন্য বদলে যেতে পারে।

সরকারি হিসাবে, ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৫০। এর মধ্যে ২১ হাজার ১৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।