যুক্তরাষ্ট্রের চীনা কনস্যুলেটে আশ্রয় নেওয়া গবেষক গ্রেফতার

সান ফ্রান্সিসকোর চীনা কনস্যুলেটে আশ্রয় নেওয়া সে দেশের একজন গবেষককে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ এড়াতে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন জুয়ান ট্যাং। আগামী ২৭ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

জুয়ান ট্যাং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রে কাজের ভিসার আবেদনের সময় চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার সংযোগের তথ্য গোপন করেছিলেন তিনি। শুক্রবারের রেকর্ডে দেখা গেছে তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্তো কাউন্টি জেলে আটক রাখা হয়েছে। মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে জুয়ান ট্যাং-কে কেন্দ্রীয় হেফাজতে নিয়েছে তদন্ত সংস্থা এফবিআই। আশা করা হচ্ছে সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

জুয়ান ট্যাং-কে গ্রেফতারের আগে চীনে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের প্রতি সতর্কতা জারি করে বিচার বিভাগ। এতে বলা হয় চীনে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকেরা বিনা বিচারে আটকের অতিরিক্ত ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিচার মন্ত্রণালয়ের আলাদা এক ঘোষণায় বলা হয় চীনা গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য নিজের রাজনৈতিক যোগাযোগ ব্যবহারের দোষ স্বীকার করেছেন সিঙ্গাপুরের এক নাগরিক।

ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যেই এসব গ্রেফতার ও দোষ স্বীকারের ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশের বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনের প্রাথমিক ভূমিকা, দক্ষিণ চীন সমুদ্র নিয়ে চীনা নীতি, হংকং এবং জিনজিয়াং নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে ওয়াশিংটন।

গত শুক্রবার চীনের চেংদু শহরের মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয় বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের হাউসটনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধের প্রতিক্রিয়ায় এই পদেক্ষপ নেওয়া হয়।

ওয়াশিংটনের অভিযোগ চীনা এজেন্টরা টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে মেডিক্যাল ও অন্যান্য গবেষণা কর্ম চুরির চেষ্টা চালিয়েছে। মার্কিন দাবিকে বিদ্বেষপূর্ণ অপবাদ আখ্যা দিয়ে তা উড়িয়ে দিয়েছে চীন। একই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় শর্ত তৈরি করতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।