তিনি বলেন, “তাশফিন দুই বছরের একটি কোর্সে ভর্তি হয়েছিল, তবে তা শেষ করেনি। সে খুবই ভালো মেয়ে ছিল, কেন কোর্স ছেড়ে চলে গেল তা আমার জানা নেই।”
শিক্ষক তাশফিনের কোর্সের মেয়াদকাল জানাতে না পারলেও বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ইউনিভার্সিটিতে তার অন্য সহপাঠীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাসের পর তিনি আল-হুদার ক্লাসে যেতেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতে আল- হুদা ইন্সটিটিউটের শাখা রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কোন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগসাজশ পাওয়া যায়নি।
২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি মুলতানের বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেন। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকতেন। আইডি কার্ড অনুযায়ী ক্যালিফোর্নিয়ায় হামলার সময় তার বয়স ছিল ২৯ বছর।
পাকিস্তানের একটি গোয়েন্দা সূত্র রয়টার্সকে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভালো ছাত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ সময় তার মধ্যে কোনও উগ্রপন্থী প্রবণতা দেখা যায়নি।
স্বজনরা বলছেন, মধ্যপন্থী মুসলিম পরিবারের সদস্য হলেও তাশফিন ও তার বাবা উগ্রবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। বিশেষ করে সৌদি আরবে অবস্থানকালে তাশফিন আরও উগ্রবাদী হয়ে উঠেন।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার ওই হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে তাশফিন মালিকের এমন কর্মকাণ্ডে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন পাকিস্তানে বসবাসরত তার স্বজনরা।
পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে নিজের মেয়েকে নিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন তাশফিনের বাবা।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্রে রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালেও পাকিস্তান সফর করেন তাশফিন। তবে এসব সফরে তিনি কার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং কোথায় কোথায় গেছেন সেটা পরিষ্কার নয়। সূত্র: ডন, রয়টার্স।
/ইউআর/এমপি/