শিগগিরই রুশ নৌবাহিনীকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে: পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশের নৌবাহিনীকে শিগগিরই হাইপারসনিক পরমাণু অস্ত্র সরবরাহ করা হবে। এছাড়া সমুদ্রের নিচে অভিযান পরিচালনায় সক্ষম পারমাণবিক ড্রোন এবং চল্লিশটি যুদ্ধজাহাজও দেওয়া হবে। রবিবার (২৬ জুলাই) সেন্ট পিটার্সবার্গে নৌবাহিনীর বার্ষিক প্যারেডে পুতিন এ ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গতি, যেকোনও অবস্থানে খাপ খেয়ে যাওয়ার সক্ষমতা ও উচ্চতার সমন্বয়ে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। এর গতি শব্দের চেয়ে পাঁচগুণেরও বেশি। আর সেকারণে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রকে শনাক্ত ও প্রতিহত করা কঠিন। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, তিনি অস্ত্র প্রতিযোগিতা চান না। তবে তিনি প্রায়ই বলে থাকেন রাশিয়ার কাছে নতুন জেনারেশনের পারমাণবিক অস্ত্র আছে এবং তা বিশ্বের যেকোনও জায়গায় আঘাত করতে সক্ষম।

রবিবার সেন্ট পিটার্সবার্গে নৌবাহিনীর সামরিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের সময় ভ্লাদিমির পুতিন জানান, নৌবাহিনীতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বেশ কিছু  অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম যুক্ত হচ্ছে। এগুলো এ বছরেই রুশ বাহিনীতে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন নি, ঠিক কবে রুশ বাহিনী এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাবে। পুতিন বলেন, ‘রুশ বাহিনীকে এমন সব অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামাদি দেওয়া হবে যার সমকক্ষ অস্ত্র বিশ্বের কোনও দেশের কাছে নেই। হাইপারসনিক পরমাণু অস্ত্র এবং সমুদ্রের তলদেশে কাজ করতে সক্ষম ড্রোন নৌবাহিনীতে সংযোজনের ফলে এ বাহিনীর যুদ্ধ-সক্ষমতা অনেকগুণ বেড়ে যাবে ’।

এদিকে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলাদা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সমুদ্রের নিচে কাজ করতে সক্ষম পজিডোন ড্রোন বহনকারী সাবমেরিন এর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। একইসাথে নতুন অস্ত্র পরীক্ষার কাজও চলছে।