তরুণদের কারণেই করোনার প্রকোপ বাড়ছে?

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিভিন্ন দেশের তরুণদেরকে আংশিকভাবে দায়ী মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস জানান, তরুণরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করার কারণে যে এমনটা হচ্ছে সে ব্যাপারে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, তরুণরাও করোনা ঝুঁকি থেকে মুক্ত নয় আর তাই নিজেদের সংক্রমণ ঠেকানোর পাশাপাশি অন্যদের মাঝে সংক্রমণ না ছড়ানোর ব্যাপারে তাদের সতর্ক হতে হবে।

noname

গেব্রিয়াসিস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এখনও বলতে চাই যে তরুণরা কোভিড-১৯ থেকে অপরাজেয় নয়। তরুণরা আক্রান্ত হতে পারে, তাদের মৃত্যু হতে পারে এবং তারা অন্যদের মাঝে এ ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখতে পারে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির এ সময়ে তরুণদেরকে পরিবর্তনের পরিচালক ও নেতা হিসেবে ভূমিকা রাখতে হবে।

টেড্রোস মনে করেন, সব জায়গার মানুষকে অবশ্যই এ ভাইরাসটিকে সঙ্গী করে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। তাদের ও অন্যদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নিজেদের ও অন্যদের (বিশেষ করে বয়স্ক ও অনেকদিন ধরে অসুস্থ, যারা অনেক ঝুঁকিতে আছে) সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

অনেক দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ জনিত কারণে মৃতদের ৪০ শতাংশের বেশি দীর্ঘমেয়াদি কেয়ার ফ্যাসিলিটিতে ছিলেন। এদের মধ্যেই ৮০ শতাংশেরই বসবাস ছিল উচ্চ আয়ের দেশে। এ অবস্থায় কেয়ার ফ্যাসিলিটিতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় একটি পলিসি ব্রিফ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনা মহামারি মোকাবিলায় দীর্ঘদিনের অসুস্থতার বিষয়টিকে জাতীয় পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করা, দৃঢ় সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং পরিবার ও স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য সহযোগিতা প্রদানসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গেব্রিয়াসিস জানান, বয়স্ক মানুষদের জন্য মানসম্পন্ন সুরক্ষাসেবা নিশ্চিত করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেখানে।