৩ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ট্রাম্প শিবির

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টারা। রবিবার (২ আগস্ট) হোয়াইট হাউজ ও ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৩ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭২ জনের। সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃতের দিক থেকে তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৪৬ লাখেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে অন্ততপক্ষে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৪ জন। এমন অবস্থায় নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলে জনসাধারণ বুথে গিয়ে কীভাবে ভোট দেবে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী ডেমোক্র্যাট শিবির। জনস্বাস্থ্য বিধি মেনে তাই ‘মেইল-ইন ভোটিং’কেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই পদ্ধতি মানতে নারাজ বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি এক টুইটার পোস্টে তিনি পরোক্ষভাবে নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘ইউনিভার্সাল মেল-ইন ভোটিং ২০২০’ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তা ইতিহাসে সবথেকে ত্রুটিপূর্ণ ও প্রতারণার নির্বাচন হবে। আর তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট অপমানের। সত্যি কথা বলতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা বিশ্ব। যতক্ষণ না মানুষ নিরাপদে যথাযথভাবে ভোট দিতে পারছেন, ততদিন কি নির্বাচন পেছানো যায়?’

রবিবার হোয়াইট হাউজ চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। তিনি দাবি করেন, মেইল ইন ব্যালটস-জনিত উদ্বেগ থেকেই নির্বাচন পেছানোর কথা বলেছেন ট্রাম্প। সিবিএস চ্যানেলের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা ৩ নভেম্বর নির্বাচনের আয়োজন করবো। প্রেসিডেন্ট এ নির্বাচনে জয়ী হতে যাচ্ছেন।’

ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের উপদেষ্টা জ্যাসন মিলারের কণ্ঠেও একই কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ফক্স নিউজ সানডে-অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘৩ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান ৩ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’