নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেন মালির বিদ্রোহী সেনারা

অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্টকে উৎখাতের পর আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখে পড়া মালির বিদ্রোহী সেনা সদস্যরা স্থিতিশীলতা পুনর্বহালের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিদ্রোহের এক দিনের মাথায় বুধবার যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তারা। নিজেদের ন্যাশনাল কমিটি ফর স্যালভেশন অব দ্য পিউপিল বলে পরিচয় দিয়েছেন বিদ্রোহী সেনারা। ওই কমিটির মুখপাত্র কর্নেল মেজর ইসমাইল ওয়াগ দাবি করেছেন, দেশকে আরও বিশৃঙ্খলার হাত থেকে রক্ষা করেছেন তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সামরিক বাহিনীর একাংশের বিদ্রোহের পর  মঙ্গলবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোউবাকার কেইতা। ভাষণে তিনি সরকার ও পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। পরে আটক হন দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। সরকারবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন আর গনবিক্ষোভে নাকাল হয়ে পড়া দেশটিতে নতুন করে সেনা বিদ্রোহের ফলে মালির সংকট আরও ঘণীভূত হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

বুধবার বিদ্রোহী সেনাদের মুখপাত্র কর্নেল মেজর ইসমাইল ওয়াগ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সামাজিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বেশ কিছু কাল ধরেই দেশে ঠিকমতো কাজ চলতে পারছিল না। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ব্যর্থতায় মালি দিন দিন বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছে। যে সত্যিকার গণতন্ত্র জনগণের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয় তা কখনোই রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের আত্মসুখ কিংবা দুর্বলতার মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় না।’ তবে ওই সংবাদ সম্মেলনে সদ্য ক্ষমতা হারানো প্রেসিডেন্ট কেইতার ভবিষ্যত নিয়ে কোনও কিছুই জানাননি।

সেনা বিদ্রোহের সময় মালিতে কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। বন্ধ রাখা হয়েছে সীমান্ত আর বহাল রাখা হয়েছে নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ।

বিদ্রোহী সেনাদের মুখপাত্র কর্নেল মেজর ইসমাইল ওয়াগ জানান, আন্তর্জাতিক সব চুক্তি ও বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো হবে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনসহ আন্তর্জাতিক সব মিশন দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বহাল রাখা হবে বলেও জানান তিনি। সরকার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে ২০১৫ সালে শুরু হওয়া প্রক্রিয়াও চালু রাখা হবে বলেও জানান তিনি।