চীনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপও বিবেচনায় আছে: ভারতীয় জেনারেল

চীনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে তৈরি হওয়া উত্তেজনা নিরসনে সামরিক পদক্ষেপও বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধান প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তবে কেবল সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা ব্যর্থ হলেই দিল্লি ওই পদক্ষেপ নেবে বলেও জানান তিনি। সোমবার (২৪ আগস্ট) বার্তা সংস্থা এএনআইকে এসব কথা জানিয়েছেন ভারতের এই সাবেক সেনাপ্রধান।ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত

ভারতের দাবি, এ বছরের শুরুতে লাদাখ সীমান্তের বিতর্কিত জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করে চীনের সেনাবাহিনী। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পাঁচ দফা আলোচনা হলেও ওই স্থাপনা এখনও সরানো হয়নি বলে দাবি করেছে দিল্লি।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘লাদাখে চীনা সেনাবাহিনীর আগ্রাসন মোকাবিলায় সামরিক পদক্ষেপও বিবেচনায় আছে, তবে ওই পদক্ষেপ কেবল তখনই ব্যবহার হবে যখন সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা ব্যর্থ হবে।’ তবে চীনা সেনাবাহিনীকে ওই অঞ্চল থেকে সরিয়ে দিতে কোন ধরনের সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে দিল্লি চিন্তা করছে সে বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

উত্তেজনার জেরে গত ১৫ জুল লাদাখ সীমান্তে সংঘাতে জড়ায় চীন ও ভারতীয় সেনারা। এতে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ভারত ওই সংঘাতকে গত পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘাত হিসেবে বর্ণনা করলেও এতে চীনের তরফে কোনও হতাহতের কথা স্বীকার করা হয়নি। ওই সংঘাতের পর আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিরসনে সম্মত হয় দুই দেশ। তবে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া সম্পন্ন হয়নি।

স্যাটেলাইট ছবির বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, চীনা সেনাবাহিনী এখনও ফিঙ্গার-৫ ও ফিঙ্গার-৮ অঞ্চলে অবস্থান করছে। ভারতের দাবি, ফিঙ্গার-৮ অঞ্চল দিয়েই চলে গেছে দুই দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা। তবে চীনের দাবি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান ফিঙ্গার-৪ অঞ্চলে। ফলে ভারতের দাবি, সব অঞ্চল থেকেই চীনা সেনাবাহিনীকে সরে যেতে হবে।

সর্বশেষ গত ১২ আগস্ট দুই দেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ে আলোচনা হয়। এতে বিবদমান এলাকা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের কার্যক্রম এবং সময়সীমা চূড়ান্ত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের সেনাসূত্র।