নাভানলিকে বিষপ্রয়োগের প্রমাণ পেয়েছে জার্মানি

বার্লিনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সাই নাভানলির শরীরে নার্ভ এজেন্ট নোভিচক প্রয়োগের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে জার্মান সরকার। বুধবার দেশটির এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টক্সিকোলোজি (বিষবিদ্যা) পরীক্ষায় নাভানলির শরীরে নোভিচক গ্রুপের রাসায়নিক নার্ভ এজেন্ট থাকার সন্দেহাতীত প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে রুশ সরকারকে দ্রুত ব্যাখ্যা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।আলেক্সাই নাভানলি

গত ২০ আগস্ট সকালে একটি ফ্লাইটে সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে মস্কো ফেরার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আলেক্সাই। বিমানটিকে জরুরি ভিত্তিতে সাইবেরিয়ার ওমস্কে অবতরণ করিয়ে তাকে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি কোমায় চলে যান। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় বার্লিনের চ্যারিতে হাসপাতালে। এখনও কোমায় রয়েছেন তিনি।

নাভানলির ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে তাকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট  এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভের কাছে ওই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটা সত্য হওয়ার কোনও উপায় নেই। তিনি বলেন, নাভানলির শরীরে যতক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ায় এটা নিয়ে মামলা বা তদন্তও শুরু হবে না।

বুধবার জার্মান সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিরক্তিকর অগ্রগতি হলো রাশিয়ায় রাসায়নিক নার্ভ এজেন্ট হামলার শিকার হয়েছেন আলেক্সাই নাভানলি।’ এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল সিনিয়র মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে। জার্মান সরকার বলেছে, নাভানলির শরীরে বিষ পাওয়ার কথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সামরিক জোট ন্যাটোকে অবহিত করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ সরকারের প্রতিক্রিয়ার আলোকে সহযোগীদের সঙ্গে যৌথ প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

এদিকে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, নাভানলির ওপর নোভিচক নার্ভ এজেন্ট হামলার বিষয়ে জার্মানির কাছ থেকে কোনও তথ্য পায়নি ক্রেমলিন। তবে জার্মান বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নাভানলির শরীরে নোভিচকের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার কথা তার স্ত্রী ইউলিয়া এবং জার্মানিতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করা হয়েছে।