৩ হাজার ৪শ ২৩ মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল চুরির অভিযোগ এনে ইকোনমিক অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ক্রাইম কমিশনের (ইএফসিসি) অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশের চারজন এবং ফিলিপাইনের ৫ জনকে ১৫ ডিসেম্বর এই সাজা দেয় লাগোসের প্রাদেশিক উচ্চ আদালত। নাইজেরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবরটি নিশ্চিত করেছে।
এ বছর ২৬ মার্চ লাগোসে অবৈধ তেল বোঝাই ‘এমটি অ্যাসটেরিস’ নামের জাহাজ নিয়ে নাইজেরিয়ান নৌবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন অভিযুক্তরা। যখন সেই জাহাজটি আটক করা হয়, তখন সেই জাহাজে কোন নাইরেজিয়ান নাগরিক ছিলেন না। সবাই ছিলেন বিদেশি। সে সময় এর পাইলট দাবি করেন, বেনিন রিপাবলিক থেকে মহড়ার জন্য জাহাজটি এখানে এসেছে। এতে কিছু বহন করা হচ্ছে না। পরে দেখা যায়, এতে অবৈধ তেল রয়েছে। তবে সেই তেল বহনের জন্য কোন অনুমোদনপত্র দেখাতে পারেননি ওই পাইলট।
ইকোনমিক অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ক্রাইম কমিশনের (ইএফসিসি) একজন প্রসিকিউটর আদালতকে বলেন, নাইজেরিয়ার আইন ভঙ্গ করে অবৈধভাবে সেদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ চুরির অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিচারক ইব্রাহিম বুবা চারটি অপরাধে তাদের ৫ বছর করে সাজা ঘোষণা করেন। তবে এর বিপরীতে তারা ২০ মিলিয়ন নাইজেরিয়ান অর্থ পরিশোধের মধ্য দিয়ে সাজামুক্ত হতে পারবেন বলে রায় দেন ওই বিচারক।
রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক ইকোনমিক অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ক্রাইম কমিশনের (ইএফসিসি) প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি মন্তব্য করেন, অভিযোগটি জলের মতো পরিস্কার ছিলো। তিনি বলেন, অপরিশোধিত তেল উত্তোলনের ক্ষেত্রে কোন বৈধ অনুমোদন সরবরাহ করতে পারেননি অভিযুক্তরা। এতে অভিযোগ আরও জোরালো ভিত্তি পেয়েছে। বিচারক বলেন, ‘প্রসিকিউশনের অভিযোগের বিপরীতে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের জন্য কোন তথ্য অথবা যুক্তি সরবরাহ করতে পারেননি অভিযুক্তরা।’
অভিযুক্তদের সাজা দেয়ার পাশাপাশি আটক করা জাহাজটিকে জব্দ করার ঘোষণাও দেয় আদালত। তবে ওই জাহাজের মালিক কে, কিংবা প্রকৃতপক্ষে ওই তেল বহনের পেছনে কে রয়েছেন, তা খুঁজে দেখা হয়নি।
উল্লেখ্য, মার্চে অবৈধ তেলের জাহাজসহ ধরা পড়ার পরে জুনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। সে সময় অভিযুক্তরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
/বিএ/