এ বছরেই দুই কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনছে মডার্না

২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের দুই কোটি ডোজ তৈরির পথে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মডার্না। ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ কোটি থেকে ১০০ কোটি ডোজ টিকা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। 

noname

বাংলাদেশ সময় দুপুর ১ টায় পাওয়া জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে এ মহামারিতে বিশ্বে ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮৪১ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৩ কোটি ৫ লাখ ৪ হাজার ৮৬৪ জনের বেশি মানুষ। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই এ মহামারি শেষ হওয়ায় কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। টিকা ও চিকিৎসাকেই কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে কয়েকটি টিকার বড় আকারের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে।  গত বুধবার মডার্নার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা ২৫ হাজার ২৯৬ জন স্বেচ্ছাসেবীকে টিকা দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে টিকাটির পরীক্ষা চালানো।

যুক্তরাষ্ট্রকে সবার আগে ১০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার চুক্তি করে রেখেছে মডার্না। এর বাইরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে টিকা সরবরাহের জন্য আলোচনা সেরে রেখেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সুইজারল্যান্ডের লোনজা গ্রুপ ও স্পেনের ল্যাবরেটরিজ ফার্মাকের সঙ্গে টিকা তৈরিতে কাজ করছে মডার্না।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ বছরের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে দুটি কোম্পানি থেকে সাড়ে তিন কোটি থেকে চার কোটি ডোজ টিকা ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেতে পারে।

মডার্নার পক্ষ থেকে জরুরি অনুমোদন পাওয়ার জন্য প্রচেষ্টার কথা বলা হচ্ছে। তাদের টিকা যদি কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কার্যকর হয়, তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষের ওপর জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে গত বৃহস্পতিবার মডার্নার প্রধান নির্বাহী স্টেফান ব্যানসেল বলেন, তাদের টিকা কার্যকর কি না, এর ফলাফল নভেম্বরের মধ্যেই জানা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের হার কমতে থাকায় তাত্ত্বিকভাবে টিকা পরীক্ষার ফল পেতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এফডিএর পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো টিকা যদি কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের কম সুরক্ষা দিতে সক্ষম হয়, তবে তার অনুমোদন দেওয়া হবে না।