সিরিয়ায় নতুন মার্কিন যুদ্ধযান ও সেনা মোতায়েন

সিরিয়ায় রুশ বাহিনীর সঙ্গে বিবাদের জের ধরে দেশটিতে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় নতুন করে ছয়টি ব্রাডলি ফাইটিং ভিয়িকল ও প্রায় ১০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে আসছে রাশিয়া। অপরদিকে সরকারবিরোধী কুর্দি বাহিনীকে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ায় দুই দেশেরই সেনা মোতায়েন রয়েছে। গত কয়েক বছরে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও রুশ বাহিনীর সদস্যরা বেশ কয়েকবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে উত্তর-পূর্ব সিরিয়াতে তাদের মধ্যে সংঘাত বেড়েছে। আগস্টের শেষের দিকে রুশ যানের সঙ্গে ধাক্কা সাত আমেরিকান সেনা আহত হয়। ক্যামেরায় ধারণকৃত সে দৃশ্যটি টুইটারে প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ‘সিকিউরিটি জোনে’ প্রবেশ করেছে। অথচ ওই জায়গা থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল দুই পক্ষ।

এমন অবস্থায় শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র বিল উরবান সিরিয়ায় নতুন মার্কিন যুদ্ধ যান ও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন। জানান, এর পাশাপাশি একটি সেন্টিনেল রাডারও মোতায়েন করা হচ্ছে। তার দাবি, এর মধ্য দিয়ে জোট বাহিনীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। উরবান বলেন, ‘সিরিয়ায় অন্য কোনও দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রয়োজন পড়লে জোটভুক্ত বাহিনীকে মোকাবিলা করা হবে।’

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, উরবান ওই বিবৃতিতে রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেননি। তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের দেওয়া আলাদা বক্তব্যে রাশিয়ার নাম সুনির্দিষ্ট করে বলা ছিল। এনবিসি নিউজে এক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘এসব ব্যবস্থা ও সেনা মোতায়েনের মধ্য দিয়ে রাশিয়াকে স্পষ্ট করে সংকেত দেওয়া হয়েছে যেন তারা পারস্পরিক দ্বন্দ্ব মেটানোর প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়। উত্তর-পূর্ব সিরিয়াতে রাশিয়া ও অন্য পক্ষগুলো যেন অপেশাদার, অনিরাপদ ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিহার করে।’