হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন পুতিনবিরোধী নাভালনি

নোভিচক নার্ভ এজেন্ট বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক আলেক্সাই নাভালনি বার্লিনের চিকিৎসাধীন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চ্যারিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শারীরিক অবস্থার পর্যাপ্ত উন্নতি হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে কারও সাহায্য ছাড়াই সিঁড়ি থেকে নামার একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। নাভালনির সহযোগীদের অভিযোগ, পুতিনের নির্দেশেই তার ওপর বিষপ্রয়োগ করা হয়। তবে এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

গত ২০ আগস্ট সকালে একটি ফ্লাইটে সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে মস্কোয় ফেরার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আলেক্সাই নাভালনি। পরে বিমানটিকে জরুরি ভিত্তিতে সাইবেরিয়ার ওমস্কে অবতরণ করিয়ে তাকে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি কোমায় চলে যান। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বার্লিনের চ্যারিতে হাসপাতালে।

বুধবার চ্যারিতে হাসপাতালের বিবৃতিতে জানানো হয়, ৪৪ বছর বয়সী নাভালনিকে ৩২ দিন চিকিৎসা দিয়েছেন তারা। এরমধ্যে ২৪ দিনই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর উন্নতি এবং বর্তমান পরিস্থিতির ভিত্তিতে তাকে চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তাররা বিশ্বাস করেন তার পূর্ণ সুস্থতা সম্ভব। তবে তার মারাত্মক বিষক্রিয়ার সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি।’

এ মাসে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নাভালনি সুস্থ হতে শুরু করেছেন আর তাকে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিছানাও ছাড়তে পারছেন তিনি। ওই সময়ে জার্মান সরকার জানায়, ফ্রান্স ও সুইডেনের ল্যাবরেটরি পরীক্ষাতেও দেখা গেছে নাভালনির ওপর নোভিচক এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছে। এর আগে জার্মানিতে চালানো পরীক্ষাতেও একই ফলাফল পাওয়া যায়। তবে ক্রেমলিন বলছে, এর কোনও প্রমাণ তাদের কাছে নেই।

প্রাথমিকভাবে নাভালনির সহযোগীদের ধারণা ছিল টমেস্ক বিমানবন্দরে গ্রহণ করা চায়ের সঙ্গে তার ওপর বিষপ্রয়োগ করা হয়। পরে তারা জানান, তার অবস্থান করা হোটেল কক্ষে খালি পানির বোতলে নার্ভ এজেন্ট শনাক্ত করা গেছে।

নাভালনির শরীরে নোভিচক নার্ভ এজেন্ট শনাক্তের পর স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ’র বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দায়ীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’