নিষেধাজ্ঞার আওতায় বেলারুশের শীর্ষ নেতারা

নির্বাচনে কারচুপি এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর অন্যায় বলপ্রয়োগের অভিযোগে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোসহ বেলারুশের শীর্ষ সাত নেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য ও কানাডা। এদের মধ্যে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ প্রধান এবং লুকাশেঙ্কোরে ছেলে ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভিক্টরও রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব নেতারা যুক্তরাজ্য ও কানাডায় প্রবেশের সুযোগ হারানোর পাশাপাশি সেখানে থাকা তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে। রাশিয়া সমর্থিত বেলারুশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো

গত ৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে বেলারুশে জোরালো বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতি সপ্তাহেই সেখানকার বিভিন্ন শহরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন লাখ লাখ মানুষ। ২৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সর্বশেষ বিক্ষোভের সময়ও বহু মানুষকে আটক করা হয়েছে।

বেলারুশের নির্বাচন কমিশন বলছে, আগস্টের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। গত সপ্তাহে মিনস্কে এক অঘোষিত অনুষ্ঠানে ষষ্ঠ মেয়াদের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। তবে বিরোধীরা বলছেন, অন্তত ৬০ শতাংশ ভোট জালিয়াতি করে পেয়েছেন লুকাশেঙ্কো। বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশসহ যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, লুকাশেঙ্কোকে বেলারুশের বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকার করছে না তারা।

এর আগে বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ঐক্যমতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সাইপ্রাসের বিরোধিতায় ওই প্রস্তাব আটকে যায়। তবে মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বেলারুশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। গত জুলাইতে যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পাওয়া বৈশ্বিক মানবাধিকার কর্মসূচির আওতায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেন, কানাডার সঙ্গে মিলে তার দেশ আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সহিংস এবং জালিয়াত শাসনের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই কারচুপির নির্বাচনের ফলাফল আমরা মানছি না। বেলারুশের জনগণের বিরুদ্ধে দস্যু মোতায়েনে দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবো এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি আমাদের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখবো।’

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস ফিলিপ্পে বলেন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব জোরালো করতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথভাবে আরোপ করা হয়েছে।