আর্মেনিয়ার ২৩০০ সেনা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে: আজারবাইজান

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে চলতে থাকা লড়াইয়ে আর্মেনিয়ার দুই হাজার তিনশ’ সেনাকে নিষ্ক্রিয় করার দাবি করেছে আজারবাইজান। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিজেদের অঞ্চলে চালানো হামলা প্রতিহত করতে আজারবাইজান সেনাবাহিনীর পাল্টা হামলায় আর্মেনিয়ার এসব সেনা সদস্য নিহত কিংবা আহত হয়েছে। এছাড়া প্রতিপক্ষের বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংসেরও দাবি করেছে দেশটি। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে। উল্লেখ্য, এই সংঘাতে আজারবাইজানকে সমর্থন করছে তুরস্ক।noname

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত গত ২৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনের সংঘাতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। মঙ্গলবার আর্মেনিয়া অভিযোগ করে তুর্কি বিমান হামলায় তাদের একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে।

বুধবার আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে দাবি করা হয়, আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী আজারবাইজানের টার্টার অঞ্চলে হামলা চালিয়ে ওই অঞ্চলের অবকাঠামো ধ্বংস করে। তবে এতে কোনও বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি। পরে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলের কর্তৃত্ব ফিরিয়ে আনে। সেখান থেকে আর্মেনীয় বাহিনী ও তাদের সামরিক সরঞ্জাম সরানোর কাজ চলছে বলেও জানানো হয়।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, গত কয়েক দিনের সংঘাতে আর্মেনিয়ার প্রায় ১৩টি ট্যাংক ও সামরিক যান, দুই শতাধিক আর্টিলারি ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, প্রায় ২৫টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ছয়টি কমান্ডান্ট ও অবজারভেশন পোস্ট, পাঁচটি অস্ত্র গুদাম, প্রায় ৫০টি ট্যাংক ধ্বংসকারী গান এবং ৫৫টি গাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এই সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। পরে ২০১৬ এবং এই বছরের শুরুতেও সংঘাতে জড়ায় দুই পক্ষ।