ধারণা করা হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসন আইন কঠোর করার যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেটি বাস্তবায়নের আগেই দ্রুতগতিতে এইসব অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ইইউ’র দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন।
২০১৫-১৬ সালে বলকান অভ্যুত্থানের পর থেকে ট্রানজিট রুট হিসেবে দারিদ্র্যপীড়িত বসনিয়াকে এড়িয়ে চলেছে অভিবাসনপ্রত্যাসী ও শরণার্থীরা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বসনিয়া থেকে ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চল মহা সমারোহে শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে রয়টার্সের প্রতিবেদন।
আবুল ছাড়া আরও প্রায় পাঁচশ’ তরুণ এই জঙ্গলে একটি পরিত্যাক্ত কারখানা ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থেকে বাঁচবার জন্য কোনমতে আগুন জ্বালিয়ে টিকে রয়েছেন। অপেক্ষা কেবল সীমান্ত অতিক্রম করার। এরপর ইউরোপের উন্নত জীবনের হাতছানি।
এই পাঁচশ’ তরুণ বসনিয়ার বিহাক ও ভেলিকা ক্লাদুসা শহরের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বিতাড়িত বলে জানা গেছে রয়টার্স সূত্রে। বসনিয়ান কর্তৃপক্ষ অভিবাসন প্রত্যাসীদের এই দলটিকে আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানান। একইসঙ্গে তারা শহরের বেশ কয়েকটি অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।
১৯৯০ সালের যুদ্ধের পরে বসনিয়া অভিবাসীদের বরাবরই স্বাগত জানিয়ে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি তারা অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার নীতিতে কঠোরতা অবলম্বন করতে যাচ্ছে এবং এদের বোঝা দাবি করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জাতিগতভাবে বিভক্ত বসনিয়ার সার্বিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার নেতৃত্বাধীন অঞ্চল বরাবরই অভিবাসী অভ্যর্থনায় অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছে। ফলে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বসনিয়ার সারজেভো এবং ক্রাজিনা সীমান্তে আশ্রয় নেওয়ার দিকেই ঝুঁকেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে ৫০ জনের একটি দলকে সীমান্ত পাড় হওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে একজন চিৎকার করে বলছিলেন, ‘ইতালি আমি আসছি।’