থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী টিভি চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ

থাইল্যান্ডে সরকারের সমালোচনাকারী একটি অনলাইন টিভি স্টেশন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের আদালত। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জরুরি অবস্থা লঙ্ঘনের অভিযোগে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ‘ভয়েস টিভি’র বিরুদ্ধে এ রায় দেওয়া হয়েছে। থাইল্যান্ডে তিন মাস ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে ওই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

1

রাজতন্ত্রের ক্ষমতা খর্ব ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ চলছে। মূলত শিক্ষার্থীরাই এসব বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিক্ষোভ দমনে গত বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সরকার। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও বিক্ষোভের সংবাদ পরিবেশন করায় চারটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এরই ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভয়েস টিভি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এক সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পুতচাপং নডথাইসং দাবি করেন, ‘ভুয়া তথ্য’ আপলোড করে ভয়েস টিভি থাইল্যান্ডের কম্পিউটার অপরাধ আইনও লংঘন করেছে।

তবে ভয়েস টিভির প্রধান সম্পাদক রিত্তিকর্ন মাহাখাছাভর্ন জানিয়েছেন, আদালতের আদেশ তাদের হাতে না পৌঁছানো পর্যন্ত তারা সম্প্রচার অব্যাহত রাখবেন।

তিনি বলেন, ‘জোরালো কণ্ঠে বলতে চাই যে আমরা সাংবাদিকতার নীতির ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি এবং আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাবো।’

ভয়েস টিভির একাংশের মালিকানা থাইল্যান্ডের সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন ও ইংলাক সিনাওয়াত্রার পরিবারের। ২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানে থাকসিনের বোন ইংলাককে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন সেসময়কার সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ।

থাকসিন ও ইংলাক দু’জনই থাইল্যান্ড থেকে পালিয়ে অন্য দেশে অবস্থান করছেন। তাদের দুজনের বিরুদ্ধ দুর্নীতির মামলা রয়েছে। তবে ওই মামলাগুলোকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করে আসছেন দুই ভাই-বোনই।