নওয়াজ শরিফকে ফেরাতে মরিয়া ইমরান খান

রাজনীতিতে সরব হওয়ার পর বিরোধী দলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ব্রিটেন থেকে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এজন্য ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকি প্রয়োজন পড়লে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গেও কথা বলতে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার পাকিস্তানের সম্প্রচারমাধ্যম এআরওয়াই কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাভোগের সময় অসুস্থ হয়ে পড়ায় আদালতের অনুমতি নিয়ে ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তিনবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নওয়াজ শরীফ। তার আইনজীবিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাকে পাকিস্তানে ফিরতে আট সপ্তাহ সময় দেয়া হলেও স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তিনি ফিরতে ব্যর্থ হন। তারপর থেকেই সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকেন। 

তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছেন নওয়াজ শরিফ। এরপরই তিনিসহ তার  পরিবারের একাধিক সদস্য ও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পাকিস্তান সরকার। এরপরই তাকে ব্রিটেন থেকে ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা প্রকাশ করলেন ইমরান খান।

শুক্রবারের সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, নওয়াজ শরিফকে ব্রিটেন থেকে ফেরানো দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়। তবে তাকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে তার সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি। সাংবাদিক সাবির সাকিরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (ব্রিটেনের) কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তাকে ফিরে আমরা পূর্ণ উদ্যোমে কাজ করছি।‘

ইমরান খান দাবি করেন নিজের অসুস্থতা নিয়ে মিথ্যা বলেছেন নওয়াজ শরিফ। আর যুক্তরাজ্যে যাওয়ার অনুমতি পাওয়ার পর তিনি কোনও চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যাননি। ইমরান বলেন, ‘আমি যদি টিকে থাকি তাহলে আমি যাবো আর বরিস জনসনের সঙ্গে কথা বলবো।’

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই ইমরান খান ও বরিস জনসনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। নওয়াজ শরিফকে বিদেশে যেতে দেওয়ার বিষয়ে অনুতাপ প্রকাশ করে সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, ‘আমার বোঝা উচিত ছিলো তিনি সারা জীবনই মিথ্যা বলেছেন।‘