তড়িঘড়ি বিচারপতি নিয়োগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাইডেন

 

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে সু্প্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে অ্যামি কোনি ব্যারেটকে নিয়োগ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন। একে ‘নজিরবিহীন’ ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

বাইডেন

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সুপ্রিম কোর্টের পঞ্চম নারী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন রক্ষণশীল ভাবধারার কোনি ব্যারেট। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের পছন্দের তিনজন বিচারপতি নিয়োগ পেলেন। সর্বশেষ অ্যামি কনি ব্যারেটের নিয়োগের মধ্য দিয়ে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক প্যানেলে রক্ষণশীলরা ৬-৩ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সোমবার (২৬ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্টের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ফলে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে অ্যামি কনি ব্যারেটের নিয়োগ ট্রাম্পের জন্য ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কের্টের বিচারপতি নিয়োগ না দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলো ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। সে দাবি উপেক্ষা করে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার প্রশ্নে সিনেটে শুনানি শুরু হয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে অ্যামি কোনির নিয়োগ চূড়ান্ত করে মার্কিন সিনেট। এদিনই শপথ নেন তিনি।

কোনি ব্যারেটের নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাইডেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের সহযোগী বিচারপতি হিসেবে তড়িঘড়ি করে অ্যামি কোনি ব্যারেটকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনাটি নজিরবিহীন। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রত্যেক আমেরিকানকে বুঝে নিতে হবে যে আপনাদের ভোট কতটা জরুরি।’

সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণতম বিচারপতি রুথ বেডার গিন্সবার্গের মৃত্যুতে তার শূন্য আসন পূরণ করা নিয়ে বিবাদে জড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বড় দুই দল। পরবর্তী প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ পর্যন্ত আসনটি শূন্য দেখতে চেয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা। তবে শেষ পর্যন্ত অ্যামি কনি ব্যারেট-এর নিয়োগের মধ্য দিয়ে এ লড়াইয়ে জয় পান ট্রাম্প।