রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিন: সু চিকে যুক্তরাষ্ট্র



রোহিঙ্গাদের জন্য স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে নেপিদোর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে সে দেশের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিকে টেলিফোন করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হেইল। এ সময় তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতির সূত্রে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এসব তথ্য জানিয়েছে।










সু চি

আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার অং সান সু চি’র সঙ্গে কথা বলেছেন ডেভিড হেইল। সে সময় মিয়ানমারে গণতন্ত্রের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেন তিনি। দুইজনের টেলিফোন আলাপের সময় উঠে আসে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হেইল আজ বার্মায় গণতান্ত্রিক সংস্কার, মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম এবং নভেম্বরে একটি গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও সমন্বিত জাতীয় নির্বাচনের প্রতি আমেরিকার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র সঙ্গে আলোচনা করেন। আন্ডার সেক্রেটারি হেইল দেশব্যাপী সংঘাত অবসান এবং রোহিঙ্গা ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তচ্যুত অন্যান্য শরণার্থীকে স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ, সম্মানজনক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।’

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। তারা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। ৯০ দশকে পালিয়ে আসা আরও ৩ থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গা তো আগে থেকেই ছিল। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হলেও তা কেবলই এক প্রহসন হিসেবে হাজির রয়েছে।