তুরস্কে ধ্বংসস্তূপের নিচে চলছে জীবনের সন্ধান

শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে মানুষ উদ্ধারে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুরস্কের বন্দরনগরী ইজমিরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। এখ পর্যন্ত প্রায় একশ’ জনকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। শুক্রবারের এই ভূমিকম্পে প্রতিবেশি গ্রিসের সামোস দ্বীপসহ তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছে আট শতাধিক মানুষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

ভূমিকম্পের পর ইজমির শহরে অন্তত ৩৮৯টি আফটার শক হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত ৩৩টি ছিল ৪ মাত্রার বেশি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে মূল ভূমিকম্পটি ছিলো সাত মাত্রার। তবে তুর্কি কর্তৃপক্ষের দাবি এর মাত্রা ছিলো  ৬ দশমিক ৬ মাত্রা।  ভূমিকম্পের পর তুরস্ক ও গ্রিসের উপকূলীয় এলাকায় সুনামি আঘাত হানে। নিহতদের মধ্যে কেবল ইজমিরেই মারা গেছে ২৫ জন আর গ্রিসের সামোস দ্বীপে দেয়াল ভেঙে পড়ে নিহত হয়েছে দুই শিশু।

ভূমিকম্পে ইজমিরে প্রায় ২০টি ভবন ভেঙে পড়ে। রাতভর এসব ভবনে উদ্ধার কাজ চালানো হয়। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, আটটি ভবনে তল্লাশি শেষ হয়েছে। এছাড়া অপর নয়টি ভবনে তল্লাশি চলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় একশ’ জনকে জীবিত অবস্থায় ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পরিবেশ ও নগরায়ন বিষয়ক মন্ত্রী মুরাত কুরুম।

শনিবার ভোরে কংক্রিটের নিচ থেকে ১৬ বছরের এক মেয়ে ও তার কুকুরকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদপত্র সোজকু। আরও ভবন ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় প্রায় দুই হাজার মানুষের জন্য রাতভর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে ইজমির শহর কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া বিগত কয়েক ঘণ্টায় উদ্ধারকারীরা চাপা পড়ে থাকা এক মা ও তার তিন সন্তানকে উদ্ধার করেছে। প্রায় ১৮ ঘণ্টার চেষ্টায় তাদের মরদেহ উদ্ধারের পর এখনও চতুর্থ সন্তানের জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।