হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ তদন্ত করবে ইথিওপিয়া

উত্তরাঞ্চলীয় টাইগ্রে প্রদেশে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ তদন্ত করে দেখবে ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন। সরকার নিযুক্ত হলেও এই কমিশনটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। টাইগ্রে প্রদেশে তদন্ত দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়ে কমিশনটি বলেছে, ওই এলাকার নৃতাত্ত্বিক বিভাজনকে আমলে নিয়েছে তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname
ইরিত্রিয়া ও সুদান সীমান্তবর্তী টাইগ্রে অঞ্চলটিতে ২০১৮ সাল থেকেই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর লড়াই চলছে। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ক্ষমতা গ্রহণের পরই অশান্ত হয়ে ওঠে অঞ্চলটি। গত সপ্তাহে নৃতাত্ত্বিক টাইগ্রে নেতাদের প্রতি অনুগত বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনী। সামরিক ঘাঁটিতে হামলার জেরে এই অভিযান শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার।

প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের অভিযোগ টাইগ্রের আঞ্চলিক নেতাদের প্রতি অনুগত বাহিনী বেসামরিকদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। তবে আঞ্চলিক কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। যদিও জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন সেখানকার হত্যাযজ্ঞ যুদ্ধাপরাধ বলেও বিবেচিত হতে পারে। মিশেল ব্যাচেলেট জানান টাইগ্রে’র মাই কাদরা শহরে শত শত মানুষকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ওই ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানান তিনি।

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে গত ৯ নভেম্বর মাই-কাদরা শহরে শত শত মানুষকে কুপিয়ে হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে তারা। সেখানকার ভয়াবহ ছবি ও ভিডিও যাচাই করে এসব বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।