এবার অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর

এবার সুখবর দিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন গবেষকরা। তারা বলছেন, বয়স্ক মানুষের দেহে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাসের টিকার প্রতিক্রিয়া ‘উৎসাহব্যঞ্জক’। গবেষকরা বলছেন, এতে করে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। অক্সফোর্ডের তৈরি এই টিকার নিবন্ধন করা হয়েছে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার নামে।

noname

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট’–এ অক্সফোর্ডের টিকার দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। দেখা গেছে, ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সীদেরও দেহেও এই টিকার রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়া ভালো। দ্বিতীয় ধাপে মোট ৫৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়।

গবেষকরা বলছেন, তৃতীয় ধাপে অক্সফোর্ডের টিকা আরও বড় পরিসরে এবং আরও বেশি মানুষের দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই টিকা রোগের প্রাদুর্ভাব থামাতে পারবে কিনা, তা জানা যাবে খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যেই।

ভ্যাকসিন গ্রুপের পরিচালক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ‘আমাদের টিকা রোগের বেড়ে ওঠা থামাতে পারবে কিনা, সেই তথ্য দেওয়ার মতো অবস্থা এখনও আসেনি। এ বিষয়ে তাড়াহুড়াও করা যাবে না। তবে আমরা বেশ কাছাকাছি চলে গেছি এবং অবশ্যই এ ব্যাপারে বড়দিনের আগেই জানা যাবে।’

অক্সফোর্ডের টিকার আগে সম্প্রতি তিনটি টিকার অগ্রগতি সম্পর্কে জানা গেছে। এগুলো হলো ফাইজার-বায়োএনটেক, স্পুটনিক ও মডার্না। ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের (কোভিড–১৯) টিকা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে। এই টিকায় উল্লেখযোগ্য কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি বলে দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি মডার্না ইনকরপোরেশন গত সোমবার জানায়, তাদের তৈরি টিকা করোনা ঠেকাতে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর। আর রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি স্পুটনিক টিকার কার্যকারিতা ৯০ শতাংশের বেশি।