এক যুগে ব্রাজিলের অ্যামাজনে বন ধ্বংসের হার সর্বোচ্চ

গত এক যুগের মধ্যে ব্রাজিলে অ্যামাজন বনাঞ্চল ধ্বংসের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটির মহাকাশ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ হারে বন ধ্বংস হয়েছে এই বছর। ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত দেশটিতে মোট ১১ হাজার ৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার বন ধ্বংস হয়েছে। গত বছরের চেয়ে বনাঞ্চল ধ্বংসের হার ৯.৫ শতাংশ বেশি। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

দুনিয়ার ফুসফুস বলে খ্যাত অ্যামাজন বনাঞ্চল। গ্রিনহাউজ গ্যাস শোষণ করে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে এই বনের। প্রায় ৩০ লাখ প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল অ্যামাজন বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ অক্সিজেনের উৎস। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে জইর বলসোনারো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর এই বন ধ্বংসের হার বেড়েছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই রেইনফরেস্টে তিনি কৃষি ও খনিসংক্রান্ত কাজ উৎসাহিত করছেন।

ব্রাজিলের মহাকাশ সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে বলসোনারো ক্ষমতায় আসার পর বনাঞ্চল ধ্বংসের হার বেড়েছে। ২০১৮ সালে সংস্থাটির প্রতিবেদনে অ্যামাজনের ৭ হাজার ৫৩৬ বর্গকিলোমিটার বন ধ্বংসের কথা জানানো হয়। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রাজিলের মহাকাশ সংস্থা। আগামী বছরের শুরুর দিকে পূর্ণাঙ্গ আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করার কথা রয়েছে সংস্থাটির।

২০২০ সালের মধ্যে বার্ষিক বন ধ্বংসের পরিমাণ তিন হাজার নয়শ’ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ব্রাজিল। তবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বলসোনারো সরকার একদিকে যেমন বনাঞ্চলে উন্নয়নকে উৎসাহ দিচ্ছেন তেমনি পরিবেশ আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর বাজেট কমিয়ে দিয়েছেন।

মহাকাশ সংস্থার প্রতিবেদন নিয়ে আগেও বিরোধে জড়িয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। গত বছর তিনি অভিযোগ করেন সংস্থাটি ব্রাজিলের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে চাইছে।