ইয়েমেনের হুথিকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হুথিকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ বদর আল বুসাইদি। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি ট্রাম্প প্রশাসনের বিবেচনাধীন রয়েছে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

সৈয়দ বদর আল বুসাইদি বলেন, হুথিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সম্ভাবনা নিয়ে ওমানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শীর্ষ কূটনীতিক।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই বিষয়টি তোলা হয়েছে বলে জানান ওমানি মন্ত্রী।

সৈয়দ বদর আল বুসাইদি বলেন, আমি মনে করি না যে এই সংঘাতের একটি প্রধান পক্ষকে এ ধরনের ক্যাটাগরিতে ফেলে দেওয়া এবং তাদেরকে আলোচনার টেবিলে না আনার মধ্যে কোনও সমাধান রয়েছে।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের সৌদি সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সৌদি জোটের হামলা থেকে বিয়েবাড়ি থেকে শুরু করে জানাজার নামাজও বাদ যায়নি।

গত মাসেই জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, বিশ্বে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ার অনিবার্য ঝুঁকিতে রয়েছে ইয়েমেন। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে প্রাণ হারাতে পারে লাখ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এমন সতর্কতা দেন।

ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চে চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ত্রাণকর্মীদের আশঙ্কা, এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে দেশটিতে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা সামগ্রী পৌঁছানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে এবং সেখানকার পরিস্থিতি আরও বাজে রূপ নেবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র যখন কোনও সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা করে তখন তাদের জন্য সহায়তা পাঠানো অন্য দেশগুলোর জন্যও কঠিন হয়ে পড়ে।