জাপানে ‘টুইটার কিলার’ এর মৃত্যুদণ্ড

টুইটারে যোগাযোগ করে একের পর এক নয় জনকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুণ্ড দিয়েছে জাপাানের আদালত। দেশটিকে হতভম্ব করে দেওয়া এই ঘটনায় তাকাহিরো শিরাইসিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২০১৭ সালে গ্রেফতারের পর তাকে টুইটার কিলার আখ্যা দেয় অনেকেই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

২০১৭ সালে তাকাহিরো শিরাইসি’র ফ্লাটে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েক জন মানুষের শরীরের অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়। ৩০ বছর বয়সী শিরাইসি তার শিকারদের হত্যা ও টুকরো টুকরো করার কথা স্বীকার করে। হত্যার শিকার প্রায় সবার সঙ্গেই সে সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্মে যোগাযোগ করে। নিহতরা প্রায় সবাই ছিলো কম বয়সী নারী। এই সিরিয়াল হত্যাকাণ্ড সামনে আসার পর অনলাইনে কিভাবে আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা চলছে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
মঙ্গলবার তাকাহিরো শিরাইসি’র বিরুদ্ধে চার শতাধিক মানুষ জড়ো হয়। যদিও আদালতে সাধারণ মানুষের জন্য মাত্র ১৬টি আসন রাখা ছিলো। উন্নত দেশগুলোর যে কয়েকটিতে এখনও সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে তার মধ্যে জাপান অন্যতম। দেশটির বহু নাগরিক এখনও মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে।

আত্মহত্যা প্রবণ নারীদের টুইটার ব্যবহার করে নিজ বাড়িতে আনতে প্রলুব্ধ করতো তাকাহিরো শিরাইসি। বলতো মরতে তাদের সাহায্য করতে পারবে সে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে নিজেও মারা যাবে বলে জানাতো। এভাবে ২০১৭ সালের আগস্ট ও অক্টোবরে ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী আট নারী ও এক পুরুষকে নিজ বাড়িতে এনে গলা টিপে হত্যা করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে।

ওই বছরের হ্যালোউইন উৎসবের সময় পুলিশ টোকিওর কাছে জামা শহরে শিরাইসি’র ফ্লাটে দেহাবশেষ আবিষ্কার করলে এই ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসে। জাপানের সংবাদমাধ্যম বাড়িটিকে ভূতের বাড়ি আখ্যা দেয়। বাড়িটিতে নয়টি মাথা, বেশ কিছু হাত ও পায়ের হাড় পাওয়া যায়।